'খাদান' ব্লকবাস্টার, বাণিজ্যিক ছবির ট্র্যাকে ফিরে সুপারস্টার দেব দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ। তবে খাদান যে এতটা সাফল্য পাবে, তা দেব নিজেও বুঝতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘এটা তো শুধু স্বপ্নপূরণ নয়, আমার দায়িত্বও বাড়ল ১০গুণ। আমাকে এবার ভাবতে হবে বাংলা বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে যখন অন্য ভাষার ছবি মুক্তি পাবে, তখন কোনও অংশে বাংলা পিছিয়ে আছে, এমনটা যেন মনে না হয়। ক্যানভাসটা আরও বড় করতে হবে।’
তবে সাফল্য এলেও বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েননি। এবিষয়ে এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেব বলেন, ‘আমি বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চাইলেও এটা আমার পিছু ছাড়ে না। তবে আমি কিন্তু কারোর খাবার ছিনিয়ে নিয়ে নিজের পেট ভরাতে চাই না। আমার লক্ষ্যটা খুব পরিষ্কার। আমি নিজে একা বড় হতে চাই না। ইন্ডাস্ট্রিকে বড় করতে চাই। ২০২৭-২০২৮ সালে আমাদের বক্স অফিস আয় যেন ৫০-৬০ কোটি ছুঁতে পারে। এই ভাবেই তো সাউথ আর মুম্বই ইন্ডাস্ট্রি বড় হয়েছে।’ দেবের কথায়, আমরা আসলে কেউ কাউকে এগোতে দিই না। কারোর সাফল্য সেলিব্রেট করি না।
বাঙাল কাঁকড়ার জাত, একথাতেই বিশ্বাস করেন দেব। তাঁর কথায়, ‘বাঙালিরা বন্ধু পাশ করলেও দুঃখ পায়, ফেল করলেও দুঃখ পায়, আর প্রথম হলে তো কথাই নেই।’ এদিকে খাদান-এর সাফল্যের পর তাঁর ফ্যানক্লাবের বিরুদ্ধে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও জিনিয়া সেনকে কটাক্ষের অভিযোগেও মুখ খোলেন দেব। তাঁর কথায়, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকরাও নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে, মারপিট করে। তবে তাতে কি কখনও কারোর হাত আছে? অনুরাগীরা যদি কাউকে কটাক্ষ করেন তার দায়িত্ব তিনি কীভাবে নিতে পারেন?
এদিকে বাংলা ও দেশের মাটিতে 'খাদান'-এর সাফল্যের পর এবার এই জয়ের পতাকা দুবাই-তে ওড়াতে চলেছেন সুপারস্টার। সেখানেও মুক্তি পেতে চলেছেন এই ছবি। তাঁর প্রার্থনা, খাদান দুবাইতেও যাতে একইরকম সাফল্য পায়, সেই আশীর্বাদই যে তাঁকে সকলে করেন।