সিনেমা ঘোষণার পর থেকেই ‘প্রধান’ আলোচনায়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল রুপোলি পর্দায় এই ছবি দিয়েই পা রাখছেন ছোট পর্দার নায়িকা সৌমিতৃষা কুণ্ডু। আড়াই বছর ধরে টিভির দর্শকদের মন জয় করে নিয়ে এবার পালা বড় পর্দায় আসার। সঙ্গে দেবের ছবি বলে কথা! গত কয়েকবছর ধরে একের পর এক ছক ভাঙা কাজ করে চলেছেন তৃণমূলের এই সাংসদ-অভিনেতা। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। দেবের সিনেমা আজকাল মুক্তি পায় গোটা দেশে। বাংলার বাইরে থাকা বাঙালিরাও সুযোগ পান হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখার। ‘প্রজাপতি’ তো গেছে বিদেশেও।
চলতি সপ্তাহেই ক্রিসমাস রিলিজ প্রধানের শ্যুটিং জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল নর্থ বেঙ্গলের চালসায়। পৌঁছে গিয়েছিল গোটা টিম। তবে শুরুতেই বিপত্তি। সে খবর দেব নিজেই দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৃহস্পতিবার রাতে লিখলেন তিনি জ্বরে আক্রান্ত। দেব ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে ছড়া কেটে জানালেন, ‘প্রধান… নো মোর ফিয়ার। বাট ফার্স্ট ডে অফ শ্যুট আই আম ডাউন উইথ ফিবার।’ আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বেশ চিন্তায় দেব-সৌমিতৃষার ভক্তরা। তাঁদের ভয়, ছবির হিরোর জ্বর হওয়ায় আবার শ্যুট বন্ধ হয়ে যাবে না তো!
এই ছবিতে দেবকে দেখা যাবে পুলিশ অফিসেরের চরিত্রে। ফার্স্ট লুক শেয়ার করে যে খবর নিজেই দিয়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর চরিত্রের নাম দীপক প্রধান। তবে গল্প খোলসা করতে নারাজ নির্মাতারা। দেবের নায়িকা হিসেবেই দেখা যাবে সৌমিতৃষাকে। ছবিতে রয়েছেন সোহম। এছাড়াও দেখা মিলবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা শঙ্কর, কাঞ্চন মল্লিকদের। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কেও।
সাবিত্রী ছাড়া গোটা কাস্ট বর্তমানে নর্থ বেঙ্গলেই রয়েছেন। পাহাড়ি প্রেক্ষাপটে এগোবে গল্প। ১৯ দিন ধরে উত্তরবঙ্গের নানান জায়গায় শ্যুটিং করবে টিম ‘প্রধান’। শ্যুটিংয়ের একদম শেষের দিকে টিমের সঙ্গে যোগ দেবেন সাবিত্রী।
দেব আর সৌমিতৃষার রসায়ন দেখতে এখন উদগ্রীব হয়ে রয়েছে দর্শকদের বড় একটা অংশ। এই ছবিতে মিঠাই রানি থাকছেন জানার পর থেকে কম কটাক্ষে পড়তে হয়নি সৌমিতৃষাকে। ‘পা চেটে কাজ পেয়েছেন’, ‘বেঁটে নায়িকা’, ‘ন্যাকা’-র মতো নানা ট্রোলের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। যদিও দেব জানান, ছবির চরিত্রের সঙ্গে একেবারে খাপ খেয়ে যান সৌমিতৃষা। সেই কারণেই তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এমনকী, দেব এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সৌমিতৃষার কাছে ছিল পুজো রিলিজ বাঘাযতীনে কাজ করার অফারও। কিন্তু সেই সময় মিঠাই সিরিয়াল চলায় সৌমিতৃষাকে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপরই প্রধানের অফার যায় তাঁর কাছে।
সৌমিতৃষার প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধান-এর পরিচালক, প্রযোজকরাও। অতনু আর অভিজিৎ একবাক্যে মেনে নিয়েছেন, খুব কর্মঠ দর্শকদের প্রিয় মিঠাইরানই। নিজে থেকে এগিয়ে এসে সিনেমা তৈরির সঙ্গে জড়িত খুঁটিনাটি বোঝার চেষ্টা করে। যেহেতু বড় পর্দায় এটাই প্রথম কাজ, তাই শেখার কোনও সুযোগই ছাড়ে না। নিজের সেরাটা দিতে সব রকমের পরিশ্রম করতে সবসময় এক পায়ে খাড়া।