ক'দিন বাদেই মুক্তি। 'টেক্কা' নিয়ে চলছে জোর কদমে প্রচার। তারই মাঝে জমে উঠেছিল 'টেক্কা' টিমের আড্ডা। সেই আড্ডায় দেখা গেল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, দেব-রুক্মিণী, শ্রীজা দত্ত সহ অন্য়ান্যদের। সেই আড্ডা, খাওয়া-দাওয়ার মাঝেই খালি গলায় গান ধরলেন দেব।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন, দেবই গান গাইছিলেন। 'ও মধু, ও মধু, I LOVE You, I Love You..' করে গান জুড়ে দিলেন। আর এরপরই প্রশ্ন উঠল 'মধুটা কে?' রুক্মিণী সকলকে জিগ্গেস করলেন, ‘এই মধুটা কে তোমরা কেউ জানো?’ এরপর শ্রীজার দিকে তাকিয়ে রুক্মিণীর প্রশ্ন, ‘তুমি তো অনেকদিন ধরে কাজ করছো, তুমি জানো?’ প্রশ্নে ভ্যাবাচাকা খেয়ে শ্রীজা বললেন, ‘তোমার নামই কি মধু!’ তৎক্ষণাৎ রুক্মিণী বললেন, ‘আমার মায়ের নাম মধু’। আর তখনই সকলে হাসতে শুরু করলেন। শ্রীজা বললেন, ‘তাহলে তো আরও ভালো’। দেব মজা করে বললেন, ‘গোডাউন হাতে রাখলেই তো শোরুম ভালো হবে…’। এমন কথায়, সকলেই যখন হাসছে। তখন রুক্মিণী বললেন, ‘এটা আসলে ও মা দিয়ে মায়া বলতে গিয়ে মা দিয়ে মধু বলে ফেলেছে..that's What।’ প্রসঙ্গত রুক্মিণী মৈত্রর মায়ের নাম মধুমিতা মৈত্র।
আরও পড়ুন-কোথাও গেলে লোকে ভাবে আমি স্নান করি না বা কানে নোংরা, তবে ওটা আসলে…: অনন্যা
দেবের এই ভিডিয়োর নিজে কমেন্টের বন্যা বয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘মধু একজনই, তিনি কোয়েল।’ প্রসঙ্গত দেবের গাওয়া এই গানটি দেব-কোয়েল জুটির 'রংবাজ' ছবির গান।
এদিকে ওই একই আড্ডাস্থলে দেবকে নিয়ে মজা করতে ছাড়লেন না স্বস্তিকাও। দেব অনুরাগীরা একটা ডায়ালগ বহুবার বলে থাকেন। নেটমাধ্যমে ভাইরাল সেই ডায়ালগই এবার বললেন স্বস্তিকা, ‘আমার শিরায় শিরায় রক্ত, আমি দেবের ভক্ত’। তবে স্বস্তিকা এখানেই থামলেন না। এই ডায়ালগকেই নতুন ভাবে নিজের মতো করে বানিয়ে বললেন, ‘আমার শিরায় শিরায় গরম রক্ত, আমি দেবের চরম ভক্ত’। স্বস্তিকার এমন কথায় সকলেই তখন হো হো করে হাসছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দেবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন রুক্মিণী মৈত্র। দেবের সঙ্গে তাঁর ঝগড়ার প্রসঙ্গ উঠলে রুক্মিণী বলেন, ‘আমি আর দেব খুব বেশি ঝগড়া করি না। ঝগড়ার সময় কেউ একজন বলে, অন্যজন শোনে। দেয়ার ইজ নো ফাইট।’
রুক্মিণীর কথায়, ‘মা-বাবার থেকে শিখেছি, অযথা তর্ক এড়িয়ে সমস্যা নিয়ে কথা বলাই শ্রেয়। আরেকটা দারুণ উপায় আছে, সেটাও বাবা-মায়ের কাছ থেকেই শেখা, সেটা হল কখনও ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঝগড়া হলে, কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছো না, চেঁচামিচি, তর্ক হচ্ছে এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে হাতটা ধরে ফেলো’।