ঘাটালের দু-বারের নির্বাচিত সাংসদ দীপক অধিকারী। যাকে গোটা বাংলা চেনে দেব নামে। রুপোলি পর্দার এই তারকা আমফান এবং করোনাকালে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। এক কথায় রিল হিরো থেকে রিয়েল লাইফের হিরো হয়ে উঠেছেন দেব। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলের হয়ে প্রচারে ব্যস্ত দেব। রাজ্যের এ প্রান্তর থেকে ও প্রান্তর ছুটে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের প্রচারে। বুধবার দেবের ডেস্টিনেশন ছিল দাঁতন ও চন্দ্রকোণা। এদিন দাঁতনের তৃণমূল প্রার্থী বিক্রম চন্দ্র প্রধান ও চন্দ্রকোণার টিএমসি প্রার্থী অরূপ ধাড়ার হয়ে প্রচার চালালেন দেব।
দেবের বক্তৃতা শুনতে চড়া রোদেও কাতারে কাতারে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। নীল রঙা চেক টি-শার্ট আর জিনসে এদিন দেখা মিলল দেবের। চেনা ভঙ্গীতে দেব বললেন, ‘যাকে ইচ্ছা ভোট দিন, কিন্তু যে কাজ করেছে তাকে ভোট দিন। কারণ আজকের মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন, সকলে ভীষণ স্মার্ট। আর মেদিনীপুরের মানুষ তো এমনিতেই বুদ্ধি্মান’।
বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে অভিযোগ দেবের। ঘাটালের সাংসদ বলেন,‘দিল্লি থেকে কিছু লোক এসেছে, তাঁরা বলছে মমতা বেগম হয়ে গেছে। আমাকে বলুন নির্বাচনটা কি মন্দির-মসজিদ নিয়ে নাকি গরীব মানুষকে নিয়ে? নির্বাচন হিন্দু মানুষ কজন আছে, মুসলিম মানুষ ক’জন আছে সেই নিয়ে নাকি গরীব মানুষের হয়ে কে কাজ করবে সেই নিয়ে? …. আমিও রামভক্ত এমন কিছু নয়। আমরা বাঙালিরা..আমরা বলি আমাদের ১২ মাসে ১৩ পার্বন। আমাদের এখানে যত ঠাকুরের পুজো হয়, পৃথিবীর কোথাউ হয় না। আমাদেরকে হিন্দুত্ব শেখাতে এসো না। আমাদেরকে ঠাকুর বোঝাতে এসো না। বাংলায় হিন্দু-মুসলিমের রাজনীতি করে কতদিন ভোট চাইবেন?'
এদিন দেশের অর্থনীতি নিয়েও মোদী সরকারের প্রতি আক্রমণ শাণালেন দেব। তিনি বলেন, গত সাত বছরের শাসনে দেশের অর্থনীতি গত পঞ্চাশ বছরে সবচেয়ে খারাপ, আর তাঁরা বলছে সোনার বাংলা গড়বে? যোগী আদিত্যনাথের বাংলা নিয়ে মন্তব্যেরও কড়া জবাব দেন দেব। নাম না করেই দেব বলেন, যে রাজ্যে এফআইআর দায়ের করতে গেলে মেয়ের বাবা-মায়ের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়ে যায়, তাঁরা আমার রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলছে, এটা ভেবেও আমার ঘেন্না হয়।
করোনা থেকে আমফান, রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন দিদি। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে তাই মানুষ দিদির পাশে থাকবেন এই বিশ্বাস দেবের।