হাজারো ব্যস্ততার ফাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট অ্যাক্টিভ থাকেন দেব এনং রুক্মিণী মৈত্র দু'জনেই। কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের নানান টুকরো টাকরা মুহূর্ত নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে নান তাঁরা। আবার সময়-সুযোগ পেলেই নেটমাধ্যমে এই দুই তারকা পরস্পরের পিছনেও লাগেন। মাঝেমধ্যেই তাঁদের খুনসুটির সাক্ষী থেকেছে নেটদুনিয়া। বলাই বাহুল্য, সেসব চুটিয়ে উপভোগও করেছে এই দুই ত্রকার অনুরাগীরা। এবার ফের একবার নেটমাধ্যমে টলিপাড়ার এই জনপ্রিয় জুটির ব্যক্তিগত জীবনের ঝলক দেখতে পেয়ে অনেকে যেমন মজা পেয়েছেন আবার কেউ কেউ কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। এক নেট নাগরিক তো দেবকে সরাসরি 'সাবধানবাণী'-ই শুনিয়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি, নিজের ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে ক্রিম রঙের শাড়ি ও ব্লাউজ, কানে মানানসই রঙের দুল, মাথার খোঁপায় গোলাপ এবং ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক দিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন রুক্মিণী। গত কয়েকদিন ধরেই নিজের পেজে এই লুকের বিভিন্ন ভঙ্গিমার ছবি আপলোড করেছেন দেবের প্রেমিকা। ছবির ক্যাপশনে ছবির মুড এবং নিজের ও মনোভাব ফুটিয়ে তুলতে রুক্মিণী রবীন্দ্রনাথের গানের পংক্তি ধার করেছেন। লিখেছেন,'আমি আকাশে পাতিয়া কান, শুনেছি শুনেছি তোমারই গান..’ ছবিতে অসংখ্য লাইক,কমেন্টের মাঝে চোখ কেড়েছে বিশেষ এক ব্যক্তির কমেন্ট। সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, স্বয়ং দেব। প্রেমিকার ছবিতে ঠাট্টা করে টলি-তারকা হিন্দিতে মন্তব্য করেছেন যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় , 'আগে এটা বল, তোকে বাংলায় এটা কে লিখে দিল?’
দেবের এই মন্তব্যে তাঁর এবং রুক্মিনীর অনুরাগীদের মধ্যে উঠেছে হাসির রোল। তবে স্বয়ং রুক্মিণী তাঁর প্রেমিকের এই মন্তব্যকে কীভাবে গ্রহণ করলেন? যেকোনও কারণেই হোক দেবের করা ওই কমেন্টকে সযত্নে এড়িয়ে গেছে এই জনপ্রিয় টলি-নায়িকা। অন্যদের কমেন্টের জবাব দিলেও দেবের এই কমেন্টের থেকে কি তবে গোঁসা করে মুখ ফিরিয়ে ফিরিয়ে নিলেন তিনি? নাকি দেবের মন্তব্যের পরে কোনও কারণে নেটমাধ্যমে আর সক্রিয় হননি তিনি? সেসবের জবাব না পাওয়া গেলেও এই 'কমেন্ট' ও তার প্রেক্ষিতে রুক্মিনীর চুপ করে থাকার জন্য তাঁদের দু'জনকেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি নেটিজেনদের একাংশ। একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী তো সরাসরি দেবের উদ্দেশে 'সাবধানবার্তা' জানিয়ে কমেন্টে জানালেন,'আপনার সঙ্গে প্রেম করে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর ছুড়ে ফেলে দেবে আপনাকে.... নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কী বলছি।’
তবে এখনও পর্যন্ত এই 'অপমান' এর প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য ভেসে আসেনি দেব কিংবা রুক্মিণী করোও তরফেই। হয়ত দেওয়ার প্রয়োজনই বোধ করেননি তাঁরা।