উৎসবে ফেরা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন দেব। টেক্কার টিজার লঞ্চে তৃণমূলের তারকা সাংসদের সেই বক্তব্য নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। দেব স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, উৎসবে ফেরা মানে প্রতিবাদ বন্ধ হওয়া নয়। পাশাপাশি শুরু থেকেই এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিনেতা। আরও পড়ুন-দেবাংশুর জন্য ঘটকালি ‘রসিকতা’ কুণালের! ‘দজ্জাল পাত্রী’ মৌসুমীর অপমানের কড়া জবাব স্বামীর
শনিবার যখন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে বসেছে জুনিয়র ডাক্তাররা, তখনই ঘাটালে সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন দেব। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নিজের এলাকায় ছুটে গিয়েছিলেন তারকা। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল, দুর্দশার অন্ত নেই আম জনতার।
এদিন ঘাটালের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ড নিয়েও মুখ খুললেন দেব। রাজ্য সরকারের ডাকে দিদির কালীঘাটের বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে দেব জানান, ‘আমি চাই এই আন্দোলনটা এবার শেষ হোক। দোষীরা শাস্তি পাক এবং যারা গরিব মানুষ যারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করায় সরকারি হাসপাতালটা ওঁদের কাছে মন্দির। যদি ওঁদের শরীর খারাপ হয় তারা যেন এই পরিষেবাটা পায়। জুনিয়র ডাক্তার ছাড়া তো একটা হাসপাতাল চলতে পারে না, এটা আমরা সবাই জানি।’
তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, ‘গত ৪০ দিন ধরে একটা আন্দোলন বাংলায় এবং শুধু বাংলা নয় এতে গোটা ভারতবর্ষ শরিক হয়েছে। এই আন্দোলনের একটাই উল্লেখ্য যে এরপরে যেন কোনও মেয়ের নাম তিলোত্তমা বা নির্ভয়া না রাখতে না হয় এবং এমন কিছু আসা উচিত যাতে মানুষ এই রেপ মেন্টালিটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে এবং হাত দেওয়া তো দূরের কথা চোখ দিয়ে তাকাতেও যেন ভয় পায়।’
এদিন কেশপুরের ঝলকা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর ঘাটাল এবং দাসপুর এলাকা ঘুরে দেখেন দেব। পরে ঘাটালের মহকুমা শাসক দফতরে প্রশাসনিক আধিকারিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। জল ছাড়া নিয়ে তিনি আশঙ্কায় দেব, ঘাটালের মানুষ ভালো নেই। উদ্বিগ্ন সাংসদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আগামী দুদিন হবে না বলেই জানা যাচ্ছে, সেই ব্য়াপারটি স্বস্তির। মানুষকে পরিষেবা সব রকমভাবে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর দেব। কঠিন সময়ে ঘাটালবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তারকা সাংসদ।