দূর্গাপুজোর পরেই হয় মা লক্ষ্মীর আরাধনা। মা উমা মর্তলোক ছেড়ে চলে যাওয়ায় যে কষ্টে থাকে গোটা বাঙালি জাতি, তার কিছুটা উপশম হয় এই লক্ষ্মীপুজোর মাধ্যমে। এই লক্ষ্মীপূজো মূলত বাঙালদের পুজো, ঘটি বা এদেশীয়রা মূলত লক্ষ্মী পুজো করে থাকেন কালীপুজোর দিন। কালীপুজোর দিন অলক্ষ্মীকে বিদায় করে লক্ষ্মীকে আহবান করেন তাঁরা।
আর পাঁচ জনের মতো বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করতে দেখা যায় অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারকে। তবে আর পাঁচজনের থেকে একেবারে অন্যরকম পুজো হয় অভিনেত্রীর বাড়িতে। মূলত থিম মেনে পুজো করেন তিনি। প্রতিবছরই কোনও না কোনও নতুন থিম দেখতে পাওয়া যায় অভিনেত্রীর বাড়িতে।
আরও পড়ুন: লাল পাড় সাদা শাড়িতে সেজে উঠলেন নুসরত, করলেন মায়ের বরণ
আরও পড়ুন: 'মা ছাড়া সংসার অসম্পূর্ণ...', কবিরের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মাতলেন কোয়েল
ত্রিধারা মন্ডপে এই থিম করে পুজোর ব্যাপার দেখে প্রথম এই বিষয়টি মাথায় এসেছিল অভিনেত্রীর। তখন তিনি ভীষণ ছোট। সবে কলেজে উঠেছেন। ১৫ বছর আগে বন্ধুবান্ধব এবং ভাই-বোনদের সঙ্গে মিলে প্রথম বাড়িতে থিমের লক্ষ্মীপুজো শুরু করেছিলেন তিনি। পরে সেটাই রীতি হয়ে দাঁড়ায়। এই বছর অভিনেত্রীর বাড়ির থিম, ‘চল আসি’।
যেহেতু থিমের পুজো তাই দেবলীনার বাড়ির লক্ষ্মী ঠাকুরকে একেবারে অন্যরকম ভাবে সাজানো হয়। শাড়িও পড়ানো হয় একেবারে অন্যরকম ভাবে। সব মিলিয়ে পুজো প্যান্ডেল স্টাইলে দেবলীনার বাড়ির লক্ষ্মী ঠাকুরের আরাধনা করা হয়।
আরও পড়ুন: লাল শাড়িতে নতুন বউ সেজে মাকে বরণ করলেন শুভশ্রী, গোলাপি পাঞ্জাবিতে সঙ্গ রাজের
আরও পড়ুন: অভিষেকের কোলে ছোট্ট কুমারী, নবমীর সকালে আবেগপ্রবণ সাইনা
সারা বছর কড়া ডায়েট মেনে চললেও পুজোর দিন কিন্তু সেসব কিছুই মানেন না অভিনেত্রী। বাড়িতে তৈরি হয় গুড়ের নাড়ু, তবে এই বছরের নতুন সংযোজক হয়েছে চিনির নাড়ু। তাই সব মিলিয়ে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করার পাশাপাশি বেশ ভালই পেটপুজো চলে অভিনেত্রীর।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে ‘রাস’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা দিয়েছে অভিনেত্রীকে। এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছিলেন অনির্বাণ চক্রবর্তী, রনজয় বিষ্ণু, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, অনুসূয়া মজুমদার, পারিজাত চৌধুরী।