সোমবার রাত ১২টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি থেকে বের হন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর দু পক্ষই সাংবাদিক বৈঠক করেন। যেখান থেকে জানা যায়, আন্দোলনকারীদের সিংহভাগ দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। আর মমতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার পরই, দিদিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন অভিনেতা-সাংসদ দেব।
এর আগে মমতা স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না মঞ্চে গেলে, দেব এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন, ‘দিদি @MamataOfficial। আপনাকে কুর্নিশ জানাই এই উদ্যোগের জন্য। আগেও আপনাকে দেখেছি আপনি কীভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, আজ আবার দেখলাম নিজের লোকের পাশে গিয়ে দাড়ালেন।’
আর সোমবার সেটির সঙ্গে বার্তা জুড়লেন, ‘এমন এক মুখ্যমন্ত্রী যে সত্যিই মানুষের পাশে দাঁড়ায়, কারণ তিনি তৈরিই হয়েছেন মানুষের দ্বারা, মানুষের জন্য এবং এই মানুষেরই মধ্যে থেকে।’
‘ধন্যবাদ মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং জুনিয়র ডাক্তারদের, আমাদের শহর কলকাতায় আবার শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য। আবারও বলছি, আমি এখনও সব ধর্ষকের শাস্তি স্বরূপ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে।’
কী ঠিক হয় সোমবারের বৈঠকে
কোনোভাবেই ডাক্তারদের শর্ত মানল না সরকার। করতে দেওয়া হয়নি লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং। তবে ডাক্তাররা কালীঘাট ছেড়ে বেরোতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে, প্রেসের সামনে দাঁড়ান। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, অপসারণ করা হচ্ছে সিপি বিনীত গোয়েলকে।
সঙ্গে অবশ্য মমতা বলতে ভুললেন না, বিনীত নিজেই নাকি সরতে চেয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের দিদি যোগ করেন, বিনীতকে তাঁর নিজের ‘পছন্দের জায়গা’-তে পাঠানো হচ্ছে। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, স্বাস্থ্য দফতরের DME, DHSকে পদ ছেকে সরানো হচ্ছে। তবে হ্যাঁ, স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো হয়নি। তবে জানানো হয়েছে, পরে এই বিষয় নিয়ে ফের মুখোমুখি বসবেব তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের।
জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্যভবনে ফিরে গিয়েই সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়ান। সেখান থেকে তাঁরা স্বষ্ট করেন, এখনঅই কর্মবিরতি উঠছে না। তাঁরা আগে চান, যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর হওয়া অবধি তাঁরা অপেক্ষা করবেন।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে ঘাটালে রয়েছেন দেব। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরজি কর নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি চাই এই আন্দোলনটা এবার শেষ হোক। দোষীরা শাস্তি পাক এবং যারা গরিব মানুষ যারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করায় সরকারি হাসপাতালটা ওঁদের কাছে মন্দির। যদি ওঁদের শরীর খারাপ হয় তারা যেন এই পরিষেবাটা পায়। জুনিয়র ডাক্তার ছাড়া তো একটা হাসপাতাল চলতে পারে না, এটা আমরা সবাই জানি।’