শহরের বুকে রোমহর্ষক ঘটনা! বড়লোকদের থেকে পোকা-মাকড়ের মতো ব্যবহার পেয়ে বিরক্ত ইকলাখ ওরফে দেব। পার্ক সার্কাস অঞ্চলে বেড়ে ওঠা সেই জমাদার বিশ্বাস হারিয়েছে সমাজের উঁচু তলার মানুষের উপর থেকে। শেষে বাধ্য হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেয় সে।
পাঙ্গা নিতে তৎপর ইকলাখ এক মাস কাজ করেই হারিয়েছে জমাদারের চাকরি। সেই চাকরি ফিরে পেতে এক স্কুলছাত্রীকে কিডন্যাপ করে সে। সেই খুদেকে উদ্ধারের দায়িত্ব পরে কলকাতা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার রুক্মিণীর হাতে। কোনওভাবেই আপোসের রাস্তায় যেতে রাজি নয় ইকলাখ, তার একটাই ডিম্যান্ড- ‘আমার চাকরিটা চাই’।
মেয়েকে বাঁচাতে সর্বস্ব সঁপে দিতে রাজি স্বস্তিকা। যত টাকা লাগে সে কিডন্যাপারকে দিতে চায়। শেষে পথে খুঁজে না পেয়ে বন্দুক হাতে তুলে নেন স্বস্তিকাও। স্পষ্ট জানিয়ে দেয়,'আমার মেয়ের সঙ্গে আজ যা যা হবে, তোমার ছেলের সঙ্গেও ঠিক তাই তাই হবে। এক্সাক্টলি সেম'। এই বাঘবন্দি খেলায় কিন্তু আরও অনেক খিলাড়ি রয়েছে।
ইকলাখের হাত থেকে বাচ্চা মেয়েটিকে বাঁচাতে মিশনে নেমেছে বিশেষ টাস্ক ফোর্স। প্রয়োজনে লোকটাকে আর বাচ্চাটাকে মেরে ফেলার অর্ডার পর্যন্ত দিয়ে দেয় পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন দেব, স্বস্তিকা, রুক্মিণী- এছাড়াও দুঁদে রাজনীতিবিদের চরিত্রে দেখা যাবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা মিলবে সুজন নীল মুখোপাধ্যায়ের। থাকছেন টোটা রায়চৌধুরী, আরিয়ান ভৌমিকরাও।
২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ট্রেলারে নিজের সিগনেচার মার্ক ধরে রেখেছেন সৃজিত। টানটান থ্রিলার, মারকাটারি সংলাপের জাদুতে বুঁদ থাকে দর্শক। ট্রেলারের একদম শেষভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা বসের উদ্দেশ্যে দেবকে বলতে শোনা গেল- ‘মেশিন দেখে বি* টাকে উঠে গেছে’। আপতত সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা দেবের সেই সংলাপ নিয়ে।
ট্রেলার থেকে প্রশংসার বন্যা। এক নেটিজেন লেখেন, ‘এতদিন শুধু সাউথ মানে থ্রিলার বুঝতাম এখন বাংলা তেও সেরা কাজ হচ্ছে’, অপর একজন লেখেন-'যে ভাবে বাস্তব পরিস্থিতিটা তুলে ধরছো বড়পর্দায়, সত্যি কুর্নিশ জানাই তোমায়'। এক দেব ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমারা বলো অভিনয় পারে না দেব, তাই না? দেখ অভিনয় কাকে বলে….’।
জুলফিকারের পর প্রায় ৮ বছর পর ফের সৃজিতের ছবিতে দেব। স্বভাবতই প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে। আগামী ৮ই অক্টোবর অর্থাৎ মহাপঞ্চমীতে মুক্তি পাবে টেক্কা। টলিউডের বক্স অফিসে এবার ত্রিমুখী লড়াই, একদিকে টেক্কা, অন্যদিকে মিঠুনের শাস্ত্রী। পাশাপাশি থাকছে শিবপ্রসাদ-কৌশানী-আবির-ঋতাভরীর বহুরূপী।