গত ২৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিল ধর্মা প্রোডাকশনের এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার ক্ষিতিশ রবি প্রসাদ। আজ, দীর্ঘ দু-মাস জেলবন্দি থাকবার পর অবশেষে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেল করণের সংস্থার এই কর্মী। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ক্ষিতিশের বাড়িতে রেইড করে নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে এনডিপিএন আইন অনুসারে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে এনসিবি। গত দু-মাস ধরে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিল ক্ষিতিশ রবি প্রসাদ।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের বিশেষ এনডিপিএস আদালত ক্ষিতিশের জামিন মঞ্জুর করেছে। সংসবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে ক্ষিতিশকে। এবং দেশের বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে ক্ষিতিশের, তাই তাঁকে পাসপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এনসিবির আনা অভিযোগ উড়িয়ে ধর্মাটিক এন্টারটেনমেন্টের এই কর্মচারী তাঁর কৌঁসুলি সতীশ মানেসিন্ধে মারফত কোর্টকে গ্রেফতারির পর জানান- এনসিবি চাইছে করণ জোহরকে অকারণে ফাঁসিয়ে দিক ক্ষিতিশ। যদিও এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর মুথা অশোক জৈন এই ধরণের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও ভুয়ো বলে উড়িয়ে দেন। জানান- ‘সব কাজ আইনের আওতায় করা হচ্ছে’।
ক্ষিতিশের গ্রেফতারির পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করে করণ জোহর জানান, ‘আমি অথবা ধর্মা প্রোডাকশন কেউই দায়ী নই কোনও মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে কী করছে তার জন্য। এটা ধর্মার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নয়’। করণ যোগ করেন- 'ক্ষিতিশ রবি প্রসাদ ধর্মাটিক এন্টারটেনমেন্ট (ধর্মার সহযোগী সংস্থা) যোগ দেয় ২০১৯-এর নভেম্বরে এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার হিসাবে- চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছিল তাঁর'।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদকাণ্ডের তদন্তে নেমে বলিউডের মাদকযোগের হদিশ পায় এনসিবি। এরপর এই মামলায় নাম জড়িয়েছে তাবড় তাবড় সেলেবদের। এনসিবির দফরতে হাজিরা দিতে হয়েছে দীপিকা,সারা, শ্রদ্ধা কাপুর, অর্জুন রামপালদের।