প্রায় চার দশক পেরিয়ে এসেছে 'তাঁদের' দাম্পত্যজীবন।বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় 'পাওয়ার কাপল' তাঁরা। তবে জানেন কি গত এক বছর ধরে একসঙ্গে থাকছেন না ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী? করছেন না একসঙ্গে সংসারও। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন হেমা মালিনী স্বয়ং। গতবছর করোনা অতিমারীর প্রকোপ রুখতে সারা দেশ জুড়ে যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল,সেই সময় থেকেই লোনাভলায় নিজের ফার্ম হাউজে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র। করোনা সংক্রমণের থেকে বাঁচতেই শহর থেকে দূরে তাঁর ওই ফার্মহাউজে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি ও গোটা দেওল পরিবার। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে এক বছরের ওপর নিজের স্ত্রী হেমা মালিনীর সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি এই বর্ষীয়ান তারকার। এই প্রসঙ্গে 'ড্রিমগার্ল' আরও বলেন যে বর্তমানের পরিস্থিতি নিরিখে একসঙ্গে থাকার থেকেও বেশি জরুরি তাঁদের পরস্পরের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা। হেমার কথায়,' এইমুহূর্তে ওঁনার স্বাস্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখা ও সজাগ থাকাটাই আমাদের পরিবারের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গত একশো বছরের ইতিহাসে সবথেকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের পৃথিবী।যদি নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়,মানব সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় তাহলে ত্যাগস্বীকার তো করতেই হবে।' অন্যদিকে,দিব্যি বহাল তবিয়তেই রয়েছেন ধর্মেন্দ্র। ১০০ একরের ওপর জায়গা জুড়ে তাঁর বিশাল ফার্ম হাউজের ভিডিও ও সেখানে তাঁর হরেকরকম মজার কান্ড কারখানার ভিডিও মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। কখনও ফার্ম হাউজের আঁকাবাঁকা রাস্তার মধ্যে গাড়ি ছুটিয়ে চলেছেন কখনও বা সেখানকার জমিতে শাকসবজি চাষে ব্যস্ত রাখছেন নিজেকে তিনি। বলাই বাহুল্য,সেসব ছবি ও ভিডিও নেটমাধ্যমে মুহূর্তেই হয় ভাইরাল।
প্রসঙ্গত, গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন হেমা মালিনী। এর সপ্তাহ দু'য়েক পরে করোনা টিকা নেন ধর্মেন্দ্রেও। ট্যুইট করে সেখবর জানানোর পাশাপাশি এই বর্ষীয়ান অভিনেতা জানিয়েছিলেন ফার্ম হাউজের তাঁর তিন কর্মী করোনা আক্রান্ত হলেও সুস্থ রয়েছেন তিনি।