ফেব্রুয়ারি মাসেই স্বামী ভারত তখতানির সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন এষা দেওল। বলিউড লাইফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশার বাবা বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে খুব 'দুঃখিত'। তিনি চান এষা ও ভরত তাঁদের বিচ্ছেদের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দেখুক।
এমন না এষা দেওলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁর বাবা ধর্মেন্দ্র। তবে বিশ্বাস করেন যে এই বিচ্ছেদ এশা এবং ভরতের মেয়ে রাধ্যা এবং মিরায়াকে 'খারাপভাবে প্রভাবিত' করতে পারে। একটি সূত্র পোর্টালকে জানিয়েছে, ‘কোনও বাবা-মা-ই তাঁদের সন্তানদের সংসার ভেঙে যাচ্ছে দেখে খুশি হতে পারেন না। ধর্মেন্দ্রজিও একজন বাবা এবং যে কেউ তার ব্যথা বুঝতে পারে। এমন নয় যে তিনি তাঁর মেয়ের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, তবে তিনি চান যে সে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক।’
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, 'এষা ও ভরত দুজনেই ধর্মেন্দ্রকে ভীষণ শ্রদ্ধা করে। তিনি দেওল পরিবারের ছেলের মতো, অন্যদিকে এষা হলেন বাবা ধর্মেন্দ্রের চোখের মণি এবং তিনি চান যে ওরা সর্বদা সুখী থাকুন। যেহেতু তার পরিবারে বিচ্ছেদ আসছে, তিনি সত্যিই দুঃখিত হয়েছেন, এবং এই কারণেই তিনি চান যে তাঁরা আলাদা হওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুক। এষা ও ভরতের দুই মেয়ে রাধ্যা ও মিরায়া দুজনেই দুই পরিবারের খুব কাছের। বিচ্ছেদ বাচ্চাদের উপর খারাপভাবে প্রভাব ফেলে। তাই ধরমজি মনে করেন, যদি বিয়ে বাঁচানো যায়, সেটার চেষ্টাই তাঁদের করা উচিত।
প্রসঙ্গত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন হেমা। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। বিবাহিত অভিনেতাকে বিয়ে করায় সেই সময় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল ড্রিম গার্লকে। ধর্মেন্দ্রের প্রথম স্ত্রী সানি ও ববি দেওলের মা প্রকাশ কউর। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে মানতে পারেননি এখনও। তাই সম্প্রতিই সানি দেওলের ছেলে করণ দেওলের বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিলেন না হেমা ও তাঁর মেয়েরা। ১৯৮০ সাল থেকে তাঁদের একসঙ্গে থাকা শুরু। এষা-র জন্ম ১৯৮১ সালে ও অহনা জন্মায় ১৯৮৫ সালে।
১১ বছর বিবাহিত জীবন ছিল এষার। হিরে ব্যবসায়ী স্বামী ভরত তখতানিকে বিয়ে করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে আলাদা হওয়ার যৌথ বিবৃতিতে দম্পতি জানায়, ‘আমরা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে ও বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনের এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে, আমাদের দুই সন্তানের সর্বোত্তম স্বার্থরক্ষা এবং কল্যাণ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রশংসা করব যে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করা হলে।’