বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘ধুলোকণা’। দীর্ঘদিন পর মেগায় কামব্যাক মানালির, সঙ্গী ইন্দ্রাশিস, এছাড়াও রয়েছেন টেলিপাড়ার তাবড় অভিনেতারা। শুরু থেকেই লড়াইটা কঠিন ছিল লালন-ফুলঝুরিদের। কারণ বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী ‘মিঠাই’। দর্শকদের একাংশের মনে ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে লালন-ফুরঝুরির গল্প, তবে সার্বিকভাবে কতখানি সফল এই ধারাবাহিক তা বির্তকিত প্রশ্ন। এর মাঝেই ট্রোলের মুখে পড়ল ফুলঝুরি।
বস্তির দুই ছেলে-মেয়ে লালন আর ফুলঝুরির জীবনযুদ্ধের গল্প ‘ধুলোকণা’। বস্তির ছেলে লালনের স্বপ্ন বড় গায়ক হওয়ার, সে নিজে গান বাঁধে, গান গায়। তবে পেশায় ড্রাইভার, যে বাড়িতে ড্রাইভিং-এর চাকরি নেয় সে সেখানেই পরিচারিকার কাজ করে ফুলঝুরি। ঝগড়া দিয়ে শুরু তাঁদের গল্প, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলে তাঁরা। এমনকি বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত গড়িয়ে ছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিয়ে ভেস্তে দেয় চড়ুই। মিথ্যা বদনাম দিয়ে লালনকে পুলিশের হাতে তুলে দেবে চড়ুই এই আশঙ্কায় বেঁকে বসে ফুলঝুরি। ভুল বোঝাবুঝির জেরে ভেঙে যায় সম্পর্ক। অভিমান,জেদ আর রাগের বশে চড়ুইকে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায় লালন। তারপর থেকেই অদ্ভূত রেষারেষি লালন-ফুলঝুরির। আর এখানেই কাহিনিমে টুইস্ট।
অন্যের বাড়িতে ফাই ফরমাশ খাটলেও ফুলঝুরি দারুণ গান লেখে, এই কথা আগেই জানা গিয়েছিল তবে সে গানও গায় এটা দর্শকদের কাছে একদম নতুন। এবার লালনকে নিজের কদর বোঝাতে সুপ্ত গানের প্রতিভাকে শান দিচ্ছে ফুলঝুরি। এই কাজে তার গুরু হয়েছে বড় মামি আর ছোট মামু। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সিরিয়ালের একটি পর্বের ক্লিপিংস। সেখানেই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ল লালন-ফুলঝুরিরা। একদিকে লালনের গলায় ঠায় একটাই গান শুনে বিরক্ত দর্শক, তেমনি ফুলঝুরির গায়িকা হওয়ার বিষয়টি নিয়েই শুরু হয়েছে চরম হাসি ঠাট্টা।
কেউ ফুলঝুরিকে ‘জবার বংশধর’ বলে কটাক্ষ করল তো কেউ ‘গরীবের নেহা কক্কর’ বলে তুলোধনা করল। কেউ কেউ তো অবাক, ‘জীবনে গান শিখলো না ফুলঝুরি আর দু-দিন আগে হঠাত্ ওর মনে হল ও গান পারে, আর সেখান থেকে সোজা স্টেজ শো’। এখন দেখবার ‘ধুলোকণা’য় ফুলঝুরির এই গায়িকা হয়ে উঠবার টুইস্ট টিআরপি তালিকায় কেমন প্রভাব ফেলে।