সমুদ্রে ডুবে গেছে লালন, উদ্ধার লাশ! লালনকে মেরে ফেলে কি শেষ হবে ‘ধূলোকণা’?

লালন-ফুলঝুরির প্রেমে কাঁটা হল চড়ুই-এর মা। সমুদ্রে ডুবে গেল লালন। উদ্ধার হল দেহ। এবার কী হবে, চিন্তায় দর্শক।

সমুদ্র থেকে লালনের বডি উদ্ধার হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের, ভেঙে পড়ল ফুলঝুরি।

বড় মোড় এল ধূলোকণা ধারাবাহিকে। এই সবে বিয়ে হয়েছিল লালন আর ফুলঝুড়ির। এতটাই ভালো চলছিল ধারাবাহিক যে টিআরপি টপারও হয়েছিল সপ্তাহখানেক আগে। তবে হঠাৎ করেই বদলে যেতে বসেছে গল্প। হানিমুনে গিয়েছিল এই জুটি, সমুদ্রে জলে একান্তে সময় কাটানোর স্বপ্ন নিয়ে। তবে ভেঙে যায় তা। কারণ জলে তলিয়ে যায় লালন।

আর তারচেয়েও বড় ধাক্কা হল এক পুলিশ অফিসার ফুলঝুরিকে বলে যে সমুদ্র থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে সমুদ্রের ধারের বোল্ডারে আঘাত পেয়ে সেই মৃতদেহের মুখ ক্ষতবিক্ষত। তাই বডি শানাক্তকরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের কাছে লালনের যে ফোটো দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে মিল রয়েছে সমুদ্র থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের।

শুনে কাঁদতে থাকে ফুলঝুরি। হাল খারাপ গোটা পরিবারের। পুলিশের পক্ষ থেকে ডাক পড়েছে দেহ সনাক্তকরণের। কী হবে এরপর? এখন বেশ ভয়ে ভয়েই আছেন দর্শকরা। যেভাবে গুনগুনকে মেরে ফেলে শেষ হয়েছে ‘খড়কুটো’, রোহিত সেনকে মেরে ফেলে শেষ হয়েছে ‘শ্রীময়ী’, সেরকম হাল ‘ধূলোকণা’র ক্ষেত্রেও হবে না তো? এই ধারাবাহিক গুলিও যে লিখেছিলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ই।

আসলে সম্প্রতি সামনে এসেছে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এর প্রোমো। এই সিরিয়ালের মুখ্য ভূমিকায় থাকছেন ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’, ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ খ্যাত রাহুল মজুমদার। এখানে তাঁর নাম শঙ্কর। ঐশানী আর শঙ্করের প্রেমের কাহিনি উঠে আসবে ‘হরগৌরী পাইস হোটেলে’। ঐশানীর চরিত্রে থাকছেন নবাগতা শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়। তাই অনেকেরই আশঙ্কা ‘ধূলোকণা’র জায়গা যেন না নিয়ে এই মেগা।

তবে ভয় পাওয়ার এতটাও কারণ নেই। এখনও টিআরপি-র সেরা দশেই থাকে লালন-ফুলঝুড়ির ‘ধূলোকণা’। গত দু সপ্তাহ ধরে ৭ নম্বর পজিশনে রয়েছে ৬.৭ নম্বর পেয়ে। তাই এখনই বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। হতে পারে, লালন মরে যাওয়ার খবর পেয়ে হয়তো সেরা পাঁচে উঠে আসবে এই ধারাবাহিক।