লালন-ফুলঝুরির সংসার এখন ভাঙনের মুখে! নেপথ্যে তিতিরকে নিয়ে লালনের পাগলামি। স্মৃতিশক্তি ফিরে এলেও তিতিরকে কিছুতেই ভুলতে পারছে না লালন। এমনকী প্রকাশ্যে ফুলঝুরির সামনে বলছে-‘আমি তিতিরের কাছে থাকতে চাই… তিতিরকে ছাড়া আমার কষ্ট হচ্ছে’। লালনের এহেন আচরণ দেখে একধিকে যেমন দর্শকদের একটা বড় অংশ বিরক্ত, তেমনই অনেকে মনে করছে লালন এখনও ‘সুস্থ হয়নি’। কিন্তু সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের জেরে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ফুলঝুরি। লালনকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্তটা সে নিয়েই ফেলেছে, তা বোঝা দেখ ‘ধুলোকণা’র সাম্প্রতিক এপিসোডে।
চড়ুইয়ের বিয়ে মিটতেই ড্যাংড্যাং করে ফুলঝুরিকে ছেড়ে তিতিরের কাছে যাওয়ার বায়না লালনের, সেই স্বামীর সেই আবদার মেনে অন্য মেয়ের কাছে লালনকে রাখতেও যায় ফুলঝুরি। সঙ্গী তান আর কমলিনী। লালন ওরফে গোগলকে কাছে পেয়ে আনন্দে ভাসছেন তিতিরের মা। খুশি তিতিরও। যদিও ডাঃ রোহিত মানে তিতিরের বাবা বিষয়টা একদমই ভালোভাবে মেনে নিতে পারছেন না। ফুলঝুরির কষ্টটা বুঝতে পারেন তিনি। কিন্তু তিতিরের হাবভাব একদম পালটে গিয়েছে। সে জানায়, লালনকে সে আটকে রাখেনি, নিজের স্ত্রীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিল জোর করে কিন্তু এখন লালন স্বঃইচ্ছায় তাঁর কাছে ফিরে এসেছে। তাই এখন লালনকে এই বাড়িতেই রাখবে সে।
তিতিরকে কাছে পেয়ে ফুলঝুরিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে লালন, জোর গলায় জানায়-'তিতিরকে ছাড়া আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমার ঘুমোতে ইচ্ছা করছিল না, খেতে ইচ্ছে করছিল না। গান গাইতে ইচ্ছা করছিল না। আমার খুব অস্থির লাগছিল'। এই সব শুনে মন ভেঙে যায় ফুলঝুরির। ননদের এই অবস্থা দেখে লালন আর তিতিরের উপর রেগে কাঁই কমলিনী। লালনকে দু-চার কথাও শুনিয়েও দেয় ফুলঝুরির বৌমণি। জানায়, ‘এই যে অপমান তুমি ফুলঝুরিকে করলে একদিন ঠিক তার ফল পাবে’। পাশাপাশি আরও বলে, ‘অসুস্থ না হলে তোমাকে বলতাম, তুমি বেইমান।’ তানও বুঝিয়ে দেয় তিতির আর লালনের এই সম্পর্কটা সমাজ বা তাঁদের পরিবার সহজভাবে মেনে নেবে না। একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে তিতিরের এই ধরণের বিশেষ বন্ধুত্ব কোনওদিন সহজভাবে মেনে নেওয়া যায় না, স্পষ্ট ভাষায় জানায় তান।
ডাঃ রোহিত ফুলঝুরিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন-'লালন সুস্থ হয়নি। ওর রিয়ালাইজেশন গুলো এলোমেলো হয়ে আছে।' কিন্তু নিজে বিশ্বাসে অটল সে, ফুলঝুরি জানান-'লালন সুস্থ বা অসুস্থ যে অবস্থাতেও এই কথাগুলো বলল, তারপর আর অন্য কোনও সত্যি শোনবার প্রয়োজন নেই।'
অনেকেরই অভিযোগ আজকাল বদলে গিয়েছে ‘ধুলোকণা’র নায়িকা, ফুলঝুরির চেয়ে তিতিরকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন লেখিকা। তাহলে লালন-ফুলঝুরির এই ভুল বোঝাবুঝির জেরে সত্যিই আলাদা হয়ে তাঁরা। ডিভোর্স কি তবে এই সম্পর্কের পরিণতি? গল্পের আগামী পর্যায়ে সেই কাহিনি উঠে আসবে। তবে লালন-তিতিরের পরকীয়া যে টিআরপি তালিকায় সুপারহিট তা কিন্তু স্পষ্ট।