দিনটা ১৯৮১ সালের ৯ ডিসেম্বর, বাঙালি মা দীপা মির্জার কোল আলো করে জন্মছিলেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্ম হয়েছিল দিয়ার। সম্প্রতি মাতৃদিবসে সেকথাই খোলসা করেছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন প্রি-ম্যাচিওর সন্তান দিয়াকে নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁর মা, পাগলের মতো আচরণ করেছিলেন।
সম্প্রতি মাতৃদিবস উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাৎকারে একসঙ্গে হাজির ছিলেন দিয়া মির্জা ও তাঁর মা দীপা মির্জা। অভিনেত্রীর বাঙালি মা দীপা জানিয়েছেন, প্রথমবার মেয়েকে পর্দায় দেখার পর তিনি তাঁর অভিনয়ের সমালোচনা করেছিলেন। দিয়া তাঁর মা দীপা মির্জাকে মনে করিয়ে দেন, ‘মনে আছে, তুমি আমায় কী বলেছিলে? আপনি একজন কর্মজীবী মহিলা ছিলেন, তবে তারপরেও আমি প্রি-ম্যাচিওর জন্মেছিলাম বলে তুমি গোটা একটা বছর বাড়ি থেকেই বের হও নি। আমাকে সুস্থ জীবন দিতে সেসময় তুমি বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দিতে না, বাবা স্নান না করা পর্যন্ত আমায় ছুঁতে দিতে না। আর কারণটা ভয় আর উদ্বেগ!'
আরও পড়ুন-সলমনের সঙ্গে দেখা করলেন বনির নায়িকা, কেমন ছিল সেই আলাপ? কী-ই বা বললেন 'ভাইজান'?

মা দীপা মির্জার সঙ্গে দিয়া মির্জা
মেয়ের কথায় সম্মতি প্রকাশ করে দীপা মির্জা জানান, ‘হ্যাঁ, আমার উদ্বেগের মধ্যে সেসময় দিন কাটত। আমাকে চিকিৎসক ও নার্সরা বলেছিল যেহেতু তুমি আমার সময়ের আগেউ জন্মেছ, তাই আমায় খুব সতর্ক থাকতে হবে। সেসময়টা খুবই সাবধানে থেকেছি। স্নান না করলে কাউকেই ঢুকতে দিতাম না,। তখনকার দিনে তো স্যানিটাইজ করার মতো কিছু ছিল না, তাই বারবার হাত ধুতাম। ডাক্তাররা বলেছিলেন, প্রিম্যাচিওর শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম, তাই আমি খুব সতর্ক থাকতাম। আমার আচরণে কিছু বন্ধুবান্ধব ভেবছিল যে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি, তবে সেসব কথায় পাত্তা দিই নি। আমি আমার মতোই ছিলাম।’
প্রসঙ্গত, দিয়া নিজেও প্রি-ম্যাচিওর সন্তানের জন্ম দেন। জানিয়েছিলেন টানা -২ মাস তাঁর ছেলের নাম রাখেন আভ্যান আজাদ রেখি।