অভিনেত্রী, প্রযোজক,উদ্যোগপতি এবং পরিবেশকর্মী-দিয়া মির্জার নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেকগুলো পরিচয়। আজ দিয়া মির্জার জন্মদিন। নিজের এই স্পেশ্যাল দিনে ভগবানের কাছে বিশেষ কোনও চাহিদা নেই অভিনেত্রীর। শুধু পরিবেশের প্রতি মানুষকে আরও একটু যত্নশীল হওয়ার আবেদন জানালেন প্রাক্তণ মিস ওয়ার্ল্ড এশিয়া।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী জানান, 'আমার জীবনে যা কিছু ঘটেছে সব কিছুর জন্য আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই বছরটা আমার জন্য আত্মোপলব্ধির একটা বছর। সারা বছর ধরে পুরস্কারের অনেক সুযোগ এসেছে-সব মিলিয়ে এটা একটা অসাধারণ বছর'। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশবিষয়ক শুভেচ্ছা দূত দিয়া, পাশাপাশি সংগঠনের স্থিতিশীল উন্নয়নবিষয়ক কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন দিয়া। তিনি আরও বলেন,'আমি চাই গোটা ভারত প্লাস্টিকমুক্ত হয়। পাশাপাশি দূষণমুক্ত বাতাসও খুব প্রয়োজনীয়। মানুষকে পরিবেশের সম্পর্কে আরেকটু বেশি সতর্ক হতে হবে'।
বয়স তো বাড়ল, সেই নিয়ে কি চিন্তায়? 'আমাকে দেখে কি একটুও সেটা মনে হচ্ছে, আমার বয়স কমছে! বয়স বাড়া নিয়ে আমার কোনও ভয় নেই, বরং বিষয়টা আমি ভালোবেসে আলিঙ্গন করে নি। নিজের মনকে আরও ভালোভাবে জানা যায়, জীবনকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারা যায়'।
শীঘ্রই নতুন যাত্রা শুরু করছেন দিয়া মির্জা-নিজের প্রযোজনা সংস্থা, ওয়ান ইন্ডিয়ার সঙ্গে। 'আমি এই নামটা বেছে নিয়েছি কারণ ওয়ান মানে প্রত্যেকে আর ভারতের অনেক নাম আছে। আমি সেই সব গল্প বলতে চাই যেটা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে আসছে, প্রভাবিত করবে এবং সমাজের উপর একটা ভালো ছাপ রাখতে সফল হবে' অকপটে জানালেন অভিনেত্রী।
জন্মদিনের প্ল্যান প্রসঙ্গে দিয়ার বক্তব্য 'আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত আমি একান্তে কিছু সময় কাটাবো, শুধু নিজের সঙ্গে আর এই শীতটাকে উপভোগ করব'।
এই বছরই স্বামী সাহিল সঙ্গার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা সেরেছেন অভিনেত্রী। পাঁচ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি..সহজ ছিল না নিশ্চয় ?
দিয়ার সাফ জবাব, 'জীবনে যে কোনও পরিবর্তনই বড়ো চ্যালেঞ্জ, কঠিন এবং বেদনাদায়ক কিন্তু সেটা মানুষকে আরও বেশি উদ্দীপিত করে। তোমাকে আরও বড়ো হয়ে ওঠতে সাহায্য করে এবং তোমার খুশির রাস্তাটাও মসৃণ করে। সৌভাগ্যবশত আমি যে সব কাজ করছি সেগুলো আমাকে সুযোগ করে দিচ্ছে এই দুঃখ থেকে বেরিয়ে আসতে'।