ফেব্রুয়ারিতে বৈভব রেখির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর থেকে খবরেই রয়েছেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। তাঁর শেয়ার করা মলদ্বীপে হানিমুনের ছবি মন কেড়েছে নেটিজেনদের। নায়িকার মা হওয়ার খবরের পাশাপাশি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সলমন খানকে নিয়ে করা দিয়ার এক স্বীকারক্তি। যেখানে দিয়া জানিয়েছিলেন, সলমন না থাকলে নিজের মা-কে বাঁচাতেই পারতেন না তিনি।
২০১৫ সালে কৃষ্ণসায়র হরিণ মামলায় মুম্বই কোর্টের বিচারাধীন ছিলেন সলমন। এমনকী, মামলার রায়ও যায় ভাইজানের বিপক্ষে। আর তখনই ভাইরাল হয় দিয়ার এক টুইট। দিয়া লেখেন, ‘সলমনই সেই মানুষ, যিনি আমার মা কে বাঁচিয়েছেন। আর সেকথা আমি কখনই ভুলব না।’ দিয়ার করা এই টুইট নিয়ে একপ্রকার ধুন্ধুমার লেগে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হন দিয়া। অবস্থা এমন হয়, ফের টুইট করতে হয় নায়িকাকে। পরের টুইটে দিয়া লেখেন, ‘আমার আগের টুইট কখনই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় ছিল না। এটা ছিল আমার বিপদের-বন্ধুর প্রতি সংবেদনশীল স্বীকারক্তি।’
সে সময়ে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারেও দিয়া বলেছিলেন, আমার মা একদিন হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে যান। সে সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় আমি প্রথম ফোন সলমনকেই করি। কেননা, ওর বাড়ি আমার বাড়ির কাছে। সাথে সাথে ছুটে আসে সলমন। আমার মা-কে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও খুবই সাহায্য করে। আমাকে ডাক্তার পরে জানিয়েছিলেন, সেদিন আর মিনিট পনেরো দেরি হলেই আমার মা-কে বাঁচানো সম্ভব হত না।
বৃহস্পতিবারই মলদ্বীপ থেকে বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার করে দিয়া জানান, তিনি মা হতে চলেছেন।
সমুদ্রের ধারে লাল কাফতান পরে দাঁড়িয়ে দিয়া বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করে লেখেন 'আমি আশীর্বাদ ধন্য। আমার মধ্যে এক নতুন জীবনের শুরু হচ্ছে। সব গল্প, ঘুম পাড়ানি গান। নতুন এক আশার জন্ম। আমার গর্ভে সবথেকে পবিত্র এই স্বপ্নের জন্মে আমি ধন্য।'