মেয়ের বয়সী নায়িকার সঙ্গে পর্দায় বলিউড হিরোদের রোম্যান্স কোনও নতুন কথা নয়। মাত্র ২১ বছরের সাই মাঞ্জেরকেরকে দাবাং থ্রি ছবিতে ৫৪ বছর বয়সী সলমন খানের নায়িকা হিসাবে দেখেছে দর্শক। প্রেম রতন ধন পায়ো ছবিতে বন্ধু অনিল কাপুর কন্যা সোনমের সঙ্গে সলমনের রোম্যান্সও অনেকেরই আজব লেগেছিল। শাহরুখ খানকেও দু-দশকের কম বয়সী অনুষ্কা, দীপিকাদের সঙ্গে প্রেমলীলা করতে দেখেছে দর্শক। অক্ষয় কুমারের ক্ষেত্রেও ছবিটা খুব বেশি আলাদা নয়। সইফ কন্যা সারা আলি খানের নায়ক হিসাবেও শীঘ্রই দেখা যাবে আক্কিকে (আতরঙ্গি রে)। দিয়া মির্জা সম্প্রতি মন্তব্য করলেন বয়স্ক পুরুষরা নিজেদের বয়সের চেয়ে অনেক কম বয়সীদের ভূমিকায় অভিনয় করে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক।
দিয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন- এটা উদ্ভট যে একজন মাঝ-বয়স্ক অভিনেতা একজন তরুণী অভিনেত্রীর নায়ক নির্বাচিত হচ্ছেন। এটা ঘটে থাকে কারণ আজও এটা (বলিউড) পুরুষ প্রধান ইন্ডাস্ট্রি। ইটিটাইমসকে দিয়া জানান, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় যে বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য খুব বেশি চরিত্র লেখা হয় না। এটা আরও বেশি দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে বয়স্ক পুরুষরা অল্প বয়সীদের চরিত্রে অভিনয় করছেন। সৌন্দর্যকে সবসময় যৌবনের সমানুপাতিক হিসাবেই ধরা হয় এখানে। সেই কারণেই বোধহয় কম বয়সীদের কাস্ট করবার একটা প্রবণতা দেখা যায়’।
দিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘ভাবুন তো নীনা গুপ্তাজির মতো একজন অভিনেত্রীকেও এটা চিত্কার করে বলতে হয় যে আমি অভিনেত্রী। এটা কাজটা আমি ভালোবাসি, দয়া করে আমাকে কাস্ট করুন। এটা ভালো বিষয় যে কিছু ফিল্মমেকার আছেন যাঁরা বয়সের কথা চিন্তা না করে ওঁনাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাস্ট করেন। তবে মাঝবয়সী প্রচুর অভিনেত্রী রয়েছেন যাঁরা স্ট্রাগল করছেন, যাঁদের হাতে চরিত্র নেই কাজ করবার মতো, গল্প নেই- কারণ সেটা লেখা হয় না’। দিয়া মির্জার কথায়, ‘ইন্ডাস্ট্রি নিঃসন্দেহে পুরুষতান্ত্রিক। বয়স্ক পুরুষরাও চায় তাঁদের বিপরীতে তরুণীদের কাস্ট করা হোক, যাতে তাঁদের সময়সীমা বেড়ে যায়। এটা ভীষণরকম অদ্ভূত বিষয় যে পঞ্চার্ধ এক নায়কের হিরোইনের বয়স হবে ১৯ বছর!’
উল্লেখ্য মিস ইন্ডিয়ার এশিয়া প্যাসেফিকের তাজ মাথায় পরে দু-দশক আগে লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সী নায়িকা দিয়া মির্জা। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘থাপ্পড়’ ছবিতে। চরিত্রের দৈর্ঘ স্বপ্ল হলেও স্বাধীনচেতা সিঙ্গল মাদারের চরিত্রে ছবিতে নজর কাড়েন দিয়া।