‘খোসলা কা ঘোসলা’, ‘ওই লাকি লাকি ওয়ে’, ‘ঘোষ স্টোরিজ’, ‘লাভ সেক্স অর ধোকা’, ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ’ সহ একাধিক সিনেমার পরিচালক হলেন দিবাকার বন্দ্যোপাধ্যায়। দিবাকর নির্মিত আরও একটি সিনেমা ছিল ‘টিস’, যেখানে অভিনয়ে করেছিলেন মনীষা কৈরালা, হুমা খুরেশি, নাসিরউদ্দিন শাহ, দিব্যা দত্ত, কাল্কি কোয়েচিন। সিনেমায় একটি ভারতীয় পরিবারের তিনটি প্রজন্ম দেখানো হয়েছিল যার শুরু হয় ১৯৮০ দশকে এবং শেষ হয় ২০৪২ সালে।
সিনেমাটি তৈরি হয়েছিল ২০২০ সালে। ওই একই বছর সিনেমাটি নেটফ্লিক্স প্লাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু নেটফ্লিক্স অনুমতি দেয়নি সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে। অবশেষে চলতি বছর এই সিনেমাটি ধর্মশালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত হয়েছিল, যা মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছিল।
আরও পড়ুন: ঘরে মজুত ১৩০ গ্রাম মাদক! তল্লাশির পরই গ্রেফতার 'সিংঘম এগেন' খ্যাত আজাজ খানের স্ত্রী
আরও পড়ুন: 'তিশার ক্যানসারে মৃত্যু হয়নি, মেডিক্যালের ফাঁদে পা দিয়েছিলাম', মেয়েকে হারিয়ে বিস্ফোরক তানিয়া
বহু চড়াই-উৎরাইয়ের পর ২০২৫ সালে এই সিনেমাটি বড় পর্দায় মুক্তির আশা রাখছেন পরিচালক। যদিও এখনও কোনও তারিখ ঘোষণা করতে পারেননি পরিচালক। নেটফ্লিক্স প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘সিনেমাটি নেটফ্লিক্স রিলিজ না করার একটিই কারণ হল, কিছু মাস আগে অ্যামাজন প্রাইমের সঙ্গে যা ঘটেছিল ‘তাণ্ডব’ ওয়েব সিরিজটি নিয়ে, এটি পুনরায় যাতে না ঘটে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
পরিচালক বলেন, ‘আমি যে সিনেমাটি বানিয়েছি সেটি ওয়েব সিরিজের থেকে একেবারেই আলাদা। ভারতের ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণু রাজনৈতিক পরিবেশে স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম গুলির দ্বারা যে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ বন্ধ হয়ে যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘টিস’। ২০২১ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির অভিযোগের ভিত্তিতে ‘তাণ্ডব’-এর কাস্ট এবং ক্রু সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পা দিয়ে মাড়ানো হচ্ছে 'ভারতের পতাকা', ফুঁসলেন জামাই সৃজিত থেকে জিতু
দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের পর যখন ‘টিস’ মুক্তির সময় সমস্যা তৈরি হয় তখন রীতিমত অবসাদে চলে গিয়েছিলেন পরিচালক। সিনেমাটি নেটফ্লিক্স সরিয়ে দেওয়ার পর অবসাদ, রাগ এবং হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন দিবাকর। অবশেষে পরিবার এবং বিশেষ করে মেয়েদের কথা ভেবে থেরাপি নিতে শুরু করেন তিনি, যার ফলে আজ তিনি অনেকটাই সুস্থ।