সাদা শার্ট, গলায় পান্নার মালা ঝুলিয়ে, মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে নাচছেন ‘আবরার’ ববি দেওল। যার নেপথ্যে বাজছে ‘জামাল কুদু’ গান। বিয়ের আসরে এই গানের তালে পা মিলিয়েই ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে এন্ট্রি হয় আবরারের। এই গানের তালে এখন নাচছে গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং এই গান। আট থেকে আশি সকলেই পা মেলাচ্ছেন ‘জামাল কুদু’ গানে।
সেই তালিকায় নতুন সংযোজন অনুরাগের ছোঁয়ার ডাক্তার সূর্য সেনগুপ্ত। হ্যাঁ, সোনা-রূপার বাবা এবার ধরা দিলেন একদম বিন্দাস মুডে। কালো রঙা শার্টের উপর ব্লেজার চাপিয়ে শ্যুটে ব্যস্ত দিব্যজ্যোতি। ফটোর জন্য পোজ দেওয়ার ফাঁকেই সাপের মতো শরীর দুলিয়ে জামাল কুদুর তালে পা মেলালেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র নায়ক।
সূর্যর ডান্স মুভসে মজে অনুরাগীরা। কেউ কেউ অবশ্য মজা করে লিখেছেন, ‘না নেচে দীপার কাছে যাও। ওকে ফিরিয়ে আনো না হলে তোমার কপালে দুঃখ আছে’। সূর্য-দীপার প্রেম কাহিনিতে সতীন-কাঁটা মিশকা। তাঁর বাড়াবাড়ি আর সহ্য হচ্ছে না দীপা-সূর্যর ভক্তদের। আরেক ভক্ত দিব্যজ্যোতির লেগপুল করে লেখেন, ‘সোনা-রূপার বাবা হতে গেলে তো এইরকম নাচ চলবে না। এ সব কী! ’
দিব্যজ্যোতি একা নন, এই গানের তালে এখন রিল ভিডিয়ো পোস্ট করছেন একের পর এক তারকা। কিন্তু জানেন কি, এই ইরানি গানের প্রকৃত অর্থ কী?
‘জামাল কুদু’ ইরানের জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত। শোনা যায়, এই গানটি ইরানের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রায় ৭০ বছর আগে গাওয়া হয়েছিল। ১৯৫০ দক্ষিণ ইরানে খারাজেমি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রথম বার গাওয়া হয় জামাল কুদু। একটু একটু করে জনপ্রিয়তা পেতে পেতে আজ পারস্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এটি। ইরানের বিয়ের অনুষ্ঠানে এই গানটি গাওয়া অলিখিত রেওয়াজ।
‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতেও ববির তৃতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানেই এই গান গাইতে দেখা যায়। ‘জামাল জমলো কুদু’ গানটি ইরানি কবি বিজান সামানদারের লেখা থেকে। সুরকার হর্ষবর্ধন রামেশ্বর ভারতীয় দর্শকদের কাছে এই গান পেশ করেছেন নতুন আঙ্গিকে। গানের যে লাইনটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে, সেটি হল ‘জামাল জামালেক জামলো জামাল কুদু’। এর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘ও আমার প্রিয়, আমার ভালবাসা, আমার মিষ্টি ভালবাসা’।
এই গানের মাধ্য়মে প্রেয়সী তাঁর প্রেমিকে বলছে- ও আমার প্রিয়, আমার হৃদয় নিয়ে খেলো না তুমি। তুমি নিজের জীবনের নতুন শুরু করতে চলেছ, আমি যেন পাগল হয়ে উঠেছি আরও। ও আমার প্রিয়, আমার ভালবাসা, আমার মিষ্টি ভালবাসা।'