নিজেদের পূর্বপুরুষের বসতবাড়ি বিখ্যাত পতৌদি প্যালেস-কে এক নামি হোটেলের সংস্থার হাত থেকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন সইফ আলি খান। বদলে দিতে হয়েছিল বিরাট অঙ্কের টাকা। যদিও সইফের কথায়, 'পতৌদি প্যালেসের মালিকানা কোনওদিনও আমাদের পরিবার হাত থেকে বিক্রি হয়ে যায়নি। লিজ দেওয়ার একটা ব্যাপার ছিল। সেসব চুকিয়েছিলাম মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়, এই আর কী'।
প্রায় ১০ একরের ওপর বিরাট জায়গা জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই পতৌদি প্যালেস। রয়েছে ১৫০-র ওপর সব বিশাল ও রাজকীয় সব কামরা। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই রাজপ্রাসাদের বেশ বড় একটি অংশ বিলাসবহুল হোটেল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য লিজ নিয়েছিল নির্মাণ সংস্থার মতো নামি হোটেল চেইন। বলিউড বাবল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে সইফ একবার ফের জানিয়েছেন যে তিনি কোনওদিনই নিজের বসতবাড়ির মালিকানা অন্য কোনও ব্যক্তি কিংবা সংস্থার হাতে তুলে দেননি। তাই 'বিক্রি'-র মতো শব্দের কোনও ব্যাপারই ছিল না এখানে। তবে হ্যাঁ, প্যালেসের বেশ বড় একটি অংশ ওই হোটেল সংস্থার কাছে বাঁধা রাখা ছিল। সেই লিজ ছাড়াতে মোটা অঙ্কের টাকা খসাতে হয়েছিল তাঁকে।
নিজের বক্তব্যের শেষে সইফের সংযোজন, 'দেশের ব্যাবসতিদের একটা বিরাট অংশই আসলে ক্রমাগত লাভের মুখ দেখে চলেছে। সেই তুলনায় আমরা অভিনেতারা তো তো চুনোপুঁটি। তবে এটাও ঠিক আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করি আমরা। তুলনামূলক অনেক বেশি আরামে থাকি। এটা অস্বীকার করার জায়গাও নেই। তাই সেকথা মাথায় রেখেই যতটা পারি আশেপাশে থাকা মানুষদের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করি , সময়মতো কর জমা করি। যথাসাহায্য় মানুষকে সাহায্য করি। আমাদের জড়িয়ে যাঁদের জীবিকা নির্বাহ হয়, তাঁদের কাছে আমরা যেন অনেক কোনও ব্যাঙ্কের বীমা যোজনার মতো। তাই মন দিয়ে সেইসব দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে চলি অনবরত। এটুকুই'।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৭ তারিখে ডিজনি+হটস্টার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সইফ অভিনীত 'ভূত পুলিশ' মুক্তি পাচ্ছে। এছাড়াও এই বলি-তারকার হাতে রয়েছে 'আদিপুরুষ', ' বান্টি অউর বাবলি', 'বিক্রম বেদা'-র হিন্দি রিমেকের মতো একগুচ্ছ বিগ বাজেটের ছবি।