দিদি নম্বর ওয়ানে সম্প্রতি জুটি বেঁধে খেলতে এসেছিলেন দম্পতিরা। সেখানেই এক মহিলা কলেজের স্যারকে বিয়ে করার গল্প শোনালেন। আর সেটা শুনেই হেসে খুন রচনা। মা বাবাদের উদ্দেশ্যে দিলেন কোন বার্তা?
কী ঘটেছে দিদি নম্বর ওয়ানে?
এদিন পৌলমী ঘোষ চৌধুরী নামক এক মহিলা তাঁর এবং তাঁর বেটার হাফের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'আমার কলেজের স্যার ছিলেন। একদিন ফেসবুকে হাই পাঠিয়েছিল।' তাতে তাঁর স্বামী সুকান্ত ঘোষ বলেন, 'ও তাতে হাই পাঠিয়েছিল।' কলেজের স্যারের সঙ্গে প্রেমের কথা শুনেই হেসে ফেলেন রচনা। বলেন, 'তার মানে স্টুডেন্টদের ফেসবুকে স্যারেরা হাই পাঠায়। এটা আমাদের মা বাবাদের একটু সজাগ থাকতে হবে। আর স্যারের হাইয়ের উত্তরে ছাত্রী হাই না পাঠালে তো পয়েন্টস চলে যাবে।'
এরপর পৌলমী জানান, তাঁর স্বামী তাঁর খুব ভালো বন্ধু, কেয়ারিং এবং রোম্যান্টিক হওয়ায় তিনি বুঝেছিলেন যে তাঁর সঙ্গেই তিনি গোটা জীবন থাকতে পারবেন। এও জানান যে সাড়ে তিন বছর প্রেমের পর তাঁরা গাঁটছড়া বেঁধেছেন। তাঁদের কথায় মুগ্ধ হন সঞ্চালিকা রচনা। শুধু প্রেমের কথাই নয়, এদিন তাঁরা এও জানান যে বিয়ের পর তাঁরা দুজনে কীভাবে সমাজের জন্য কাজ করে চলেছেন।
সুকান্ত এদিন কথায় কথায় দিদি নম্বর ওয়ানে জানান, 'রিসেপশনের দিন আমরা দেহদান করেছি মরণোত্তর। আগুনে যে দেহটা পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেটা আমার প্রথম থেকেই কেমন লাগতো যে এটা আমি করতে পারব না। দেহ যদি অন্য কোনও কাজে লাগে, মৃত্যুর পরও যদি আমি কারও মাধ্যমে বেঁচে থাকি কিডনি, চোখ, লিভারের মাধ্যমে তো সেই থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।' তাঁরা এও জানান যে তাঁরা বেশ কিছু ছাত্রের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁদের এই মহৎ কাজের কথা শুনে মুগ্ধ হন রচনা।
দিদি নম্বর ওয়ান প্রসঙ্গে
দিদি নম্বর ওয়ান বাংলার অন্যতম পুরনো রিয়েলিটি শো। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই শো প্রতি সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিকেল পাঁচটা থেকে সম্প্রচারিত হয়। অন্যদিকে রবিবার রাত আটটা থেকে দেখা যায় এই শো।