কদিন আগেই ধুমধাম করে ১০০০ পর্বের উদযাপন হয়েছে দিদি নম্বর ১-এ। শুরু থেকেই টিভির সঞ্চালক হিসেবে হিট রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা ভালো, বড় পর্দার থেকে অনেক বেশি ঘরের মানুষ হয়েছেন জি বাংলার এই গেম শো-র হাত ধর। নতুন শেয়ার করা প্রোমোতে দেখা গেল নিজেদের ডায়েট, ফিটনেস নিয়ে গল্প আড্ডা মস্করায় মজবেন সঙ্ঘশ্রী সিনহা, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, অরুণিমা হালদাররা।
ফিটনেস স্পেশাল পর্বে চান্দ্রেয়ীর কাছে তাঁর ডায়েট চার্ট জানতে চান রচনা। আর তাতে অভিনেত্রী জানান, ‘আমায় কেউ যদি রাত ৩টের সময় ডেকে বলে বিরিয়ানি খাবে? আমি হ্যাঁ বলে উঠে পড়ি। দানাদার… উফফফ কী ভালো খেতে!’ আর তাতে পাশ থেকে সঙ্ঘশ্রী বলে ওঠেন, ‘ও হচ্ছে ইচ্ছে হলে রোগা হতে পারে, ইচ্ছে হলে মোটা হতে পারে।’
রচনা নিজেও কিন্তু খুব ডায়েট সচেতন। সন্ধে ৭টার পর একেবারেই খাবার খান না। এমনকী বিয়েবাড়ি গেলেও, বাড়ি থেকে খবার খেয়েই যান। এখানেই শেষ নয়, রাত ৯টার মধ্যে চলে যান তিনি ঘুমোতে। এসবই রচনা নিজের মুখে জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে।
বিগত ১০ বছরে চেহারার কোনো পরিবর্চনই আসেনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যেন বয়স থমকে গিয়েছে। এর পিছনে কিন্তু রয়েছে তাঁর অধ্যাবসাই। যেমন তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন সকালের দিকটা। একেবারে সময় না পেলে অন্তত ৪০-৪৫ মিনিট হাঁটেন। এখানেই শেষ নয়, ফুড ক্রেভিংস নাকি একেবারেই নেই। সুষম আহারই বেশি পছন্দ। বেশি করে শাকসবজি, ফল। কখনো একটু ভারী খাবার বা বিরিয়ানি খেলে, পরেরদিনটা রাখেন একদম হালকা।
আপাতত শুধু আর অভিনেত্রী বা সঞ্চালিকাতে আটকে নেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব। সঙ্গে তিনি হুগলীর সাংসদও। ২০১২ সাল থেকে দিদি নম্বর ওয়ান-এ সঞ্চালিকার কাজ শুরু করেছিলেন রচনা। সেই কাজ এখনও সামলে যাচ্ছেন। আর শুধু তাই নয়, টিআরপিতেও এই শো-র নম্বর থাকে উপরের দিকে।
রাজনীতিতে পা রাখার জন্য কুৎসিত ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন। বেশ কয়েকবার তাই নিয়ে আফশোস করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাঁর হাসি, তাঁর বলা প্রায় প্রতিটা কথা নিয়ে বানানো হয়েছে মিম। যদিও পর নিজেই বুঝেছেন যে, ট্রোলের মুখ বন্ধ করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। এমনকী, এই রাজনীতিতে পা রাখার ফলে স্বামী প্রবাল বসু-র সঙ্গেও ভাঙা সম্পর্ক অনেকখানি ঠিক হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে বেশিরভাগ সময় ভোটের প্রচারে প্রবালকে দেখে যার ধারণা করে ফেলেছিলেন সাধারণ মানুষ। পরে তিনি নিজেও তা স্বীকার করে নেন।