দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে যেমন নিজেদের জীবনের সুখ-দুঃখের গল্প শোনাতে আসেন আম জনতা, তেমনই সেলেবরাও পৌঁছান রচনার সঙ্গে জীবনের গল্প ভাগ করে নিতে। সম্প্রতি দিদির দরবারে হাজির হয়েছিলেন ‘নিম ফুলের মধু’ খ্যাত অভিনেতা সুব্রত গুহরায় মানে পর্ণার জ্যাঠাশ্বশুর। আরও পড়ুন-'রাস্তায় লোকজন দেখলে এখন বলে ধ্যাষ্টা জ্যাঠু’! 'নিম ফুলের মধু'র জ্য়াঠামশাই-এর কথায় হেসে লুটোপুটি রচনা
শুরুর দিন থেকেই ‘ধ্যাষ্টামো’ সংলাপের জন্য জনপ্রিয় সুব্রতবাবু। তাঁর অভিনয় মন ছুঁয়েছে দর্শকদের। শুরুতে পর্নার সঙ্গে তাঁর বনিবনা না হলেও এখন সমীকরণ বদলেছে। পর্দায় স্ত্রীর উপর ছড়ি ঘোরাতে ভালোবাসেন সৃজনের জ্যাঠামশাই। কিন্তু বাস্তবে বউয়ের সঙ্গে তার রসায়ন কেমন, তা ধরা পড়ল রচনার গেম শো-তে।
তিন দশকের বিবাহিত জীবন পিয়ালি গুহরায় ও সুব্রত গুহরায়। অকপটে মেনে নিলেন, ‘হ্যাঁ, ও ৩০ বছর ধরে আমার ধ্যাষ্টামো সহ্য করে যাচ্ছে’। বর হিসাবে সুব্রতবাবু কেমন? অকপটে উত্তর আসে- ‘একটা সময় খুব বদরাগী ছিল, এবং আর ভীষণ পজেসিভ ছিল। রাস্তাঘাটে লোকজনকে মেরে দিত, যদি কেউ আমাকে একটু এরকম করে (কনুই দিয়ে শরীর স্পর্শ করার ভঙ্গি) রাস্তা দিয়ে যেত। তারপর আমি বাড়ি থেকে বেরোলে এসে দেখতাম সুইচ বোর্ড ফাটিয়ে দিয়েছে…’। শুনেই তাজ্জব রচনা।
পিয়ালি দেবী বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছি, না বলে দিদির বাড়ি গিয়েছিলাম তাই…’। সাফাই দিয়ে সুব্রত বাবু বলেন, ‘না বলে গিয়েছে তো’। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বদল এসেছে স্বামীর আচরণে, জানান সুব্রত ঘরণী। স্বামী এত বেশি বদমেজাজি হলেও সন্তানদের গায়ে হাত তোলা তো দূর কোনওদিন উঁচু স্বরে কথা পর্যন্ত বলেননি জানালেন পিয়ালি।
এই কথা শুনে অবাক সঞ্চালিকা। রচনা বলেই ফেললেন, পর্দায় তো ছেলেকে জুতো দিয়ে পেটাচ্ছে! এবার পালটা দিলেন সুব্রত গুহরায়। তিনি বলেন, ‘ছেলে বাপের শ্রদ্ধ করলে জুতো পেটা তো খাবেই’। একথা শুনে হাসি থামেনি রচনার।
আপতত বেশ কয়েক বছর এগিয়ে গিয়েছে নিম ফুলের মধুর গল্প। পর্না-সৃজনের মেয়ে পুঁটিকে ঘিরে জমজমাট দত্ত বাড়ি। তবে সিরিয়ালের নতুন ট্র্যাক দেখে নাক সিঁটকোচ্ছে দর্শক। সৃজনকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছে সুইটি। আর সতীনকে নিয়েই দত্ত বাড়িতে পা রাখবে পর্না। সেই দেখে বিরক্ত দর্শক। আগামিতে কী চমক থাকছে সেটা দেখার অপেক্ষায় ফ্যানেরা।