দিদি নম্বর ওয়ানে এদিন খেলতে এসেছিলেন অঙ্কিতা পাল দত্ত নামক একজন। সেখানে এসে তিনি জানান অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হওয়া সত্বেও তিনি কত ভালো শ্বশুর বাড়ি পেয়েছেন। আর সেটার প্রমাণে তিনি যা যা গল্প শোনান তাতে হতবাক হয়ে যান সকলেই।
দিদি নম্বর ওয়ানে কী জানালেন অঙ্কিতা?
এদিন অঙ্কিতা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গল্প করতে করতে জানান তাঁর অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হয়েছিল। তাঁর শ্বশুর বাড়ির খুবই ভালো। তাঁর কথায়, 'আমি সকাল ১১ টায় উঠি। তারপর আমি যা ব্রেকফাস্ট বানাই সেটা কেউ খায় না। তাই নিজেরটা নিজে করে নিই। দিয়ে ঘরে গিয়ে ঘন দেখি। দুপুরে শাশুড়ি লাঞ্চ খেতে দেন। খাওয়া হলে উনিই ফল কেটে দেন। তারপর আমি ঘুমাই। ঘুম দিয়ে উঠে নিজের কফি নিজেই করি। দিয়ে জিমে যাই। এসে প্রোটিন জাতীয় কিছু খাবার খাই।' এটাই শুনে হতবাক হয়ে যান রচনা।
আরও পড়ুন: 'মাস্ক পরো...', অসুস্থতা কাটিয়েই মাঠে হাজির শাহরুখ, পাশে থেকে আগলে রাখলেন গৌরী
আরও পড়ুন: জুতো থেকে হাতে থিকথিক করছে জোঁক, না ফেলে এটা কী কাণ্ড ঘটালেন মিমি?
সঞ্চালিকা এদিন মজা করে অঙ্কিতাকে বলেন, 'তুমি খুবই সংসারী বুঝতে পারছি। লোকে বলে ভাগ্য করে শ্বশুর শাশুড়ি পেয়েছি, আর তোমার শ্বশুর বাড়ির লোক ভাবছে ভাগ্য করে বউমা পেয়েছি। শাশুড়ি নিজে রোজ সকালে বউমা ব্রেকফাস্ট বানিয়ে খাওয়ায়, দুপুরের রান্না করে লাঞ্চ খাওয়ায়, তারপর ফলটাও উনিই কেটে দেন। এমনকি বিকেলে ওঁর কপালে কফি জোটে না। বউমা নিজেই নিজের কফি বানায় খালি। আবার রাতে খাবার বানায়। তুমি খুবই ভাগ্যবতী।'
এরপর অঙ্কিতা জানান যে তাঁকে যে কেবল সংসারের কাজ করতে হয় না সেটাই নয়, তিনি এবং তাঁর বেটার হাফ এক দেড় মাসের জন্য বেড়াতে চলে যান। কখনও কখনও শ্বশুর শাশুড়িকেও নিয়ে যান। তাঁর এই কথা শুনে বাক্য হারিয়ে ফেলেন রচনা।
কে কী বলছেন?
এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যানেলের তরফে পোস্ট করা হলে অনেকেই ট্রোল করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেবজ 'এগারোটায় উঠলে কেউ কিছু বলে না ঝামেলা এড়ানোর জন্য বোন। এটায় গব্বের কিছু নাই বুঝলে?' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'অত্যন্ত ন্যাকা। কি ভেবেছিলেন খুব বাহবা কুড়োবেন? আপনি যেরকম লাইফস্টাইলের কথা বলেছেন সেটা কোনও সুস্থ মানুষ যাপন করে না। তার ওপর গর্ব করে পাব্লিকলি বলছেন এবং সেটি সম্প্রচারিতও হচ্ছে। যা দেখছি টাকা ধ্বংস ছাড়া আর কিস্যু করেন না আপনি।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'এটাকে লাকি বলে না, স্বার্থপর হওয়া বলে। নিজেরটা বাদে আর কারও কথাই উনি ভাবেন না। তাও যদি বুঝতাম কাজের কাজ কিছু করছে, অন্যের টাকা ধ্বংস করা আর সেই টাকায় ফুর্তি বাদে কিছুই করছে না। এগুলো আবার পাবলিকলি বলছে আর আপনারা প্রমোট করছেন।'
আরও পড়ুন: রফির গান গেয়ে 'টাইম মেশিন' খেতাব জয় শুভর, বাংলার ছেলেকে টেক্কা দিতে পারলেন বিনীত?
দিদি নম্বর ওয়ান প্রসঙ্গে
দিদি নম্বর ওয়ান বাংলার অন্যতম পুরনো রিয়েলিটি শো। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই শো প্রতি সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিকেল পাঁচটা থেকে সম্প্রচারিত হয়। অন্যদিকে রবিবার রাত আটটা থেকে দেখা যায় এই শো।