দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এর আগেও উঠে এসেছে অসাধ্য সাধনের গল্প। জীবনের এমন লড়াই যা খালি চোখে অবিশ্বাস্য ঠেকলেও, অনেকেই তা করে দেখিয়েছেন। এমন কিছু ঘটনা যা লাখ লাখ মানুষকে নতুন করে বাঁচার সুযোগ দেবে। এমনই এক মহিলা হাজির হয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শো-তে। নাম রুচি জৈন। পেশায় তিনি নৃত্যশিল্পী তবে এই নাচ এক পায়েই করেন তিনি।
জীবনের সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন রুচি। জানালেন পায়ে একটা টিউমার হয়েছিল। তিনবার অপারেশনও হয়। এরপর কেটে বাদ দিতে হয় পা। তারপর থেকে তিনি ‘সিঙ্গেল লেক ডান্সার’। রুচির কথায়, ‘এক পায়ে দাঁড়িয়ে আমি অসম্ভবকে সম্ভব করতে চাই।’ দিদি নম্বর ১-এ নেচেও দেখালেন। যা দেখে রুচিকে জড়িয়ে ধরেন রচনা। বললেন, ‘অসম্ভব মনের জোর থাকলে এটা হতে পারে’।
নেট-নাগরিকদের মন কেড়ে নিয়েছে এই ভিডিয়ো। জনৈক লিখলেন, ‘এই কারণেই আমার দিদি নম্বর ১ দেখা। চলার পথের বাধা পেরোতে শেখায় এই শো।’ অন্যজন লিখলেন, ‘এক পা বাদ গেলে অনেকে তো নিজে চলাফেরা করতেও ভয় পায়। আর এই দিদি নেচে দেখাল। এরাই সমাজের আসল দিদি নম্বর ১।’
মহিলাদের সংগ্রাম, তাঁদের আত্মত্যাগের বাস্তব গল্প এই গেম শো-র মঞ্চে উঠে আসে বারবার। সম্প্রতি এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বউয়ের মিথ্যে গল্প দেখিয়ে টিআরপি কুড়িয়েছে দিদি নম্বর ১। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। এরপর মুখ খোলেন রচনা। তাঁকে বলতে শওনা যায়, ‘এটা একদমই নয়। ১১ বছর ধরে এই শো চলে আসছে। প্রতিটা এপিসোডে চারটে করে মেয়ে অংশ নিচ্ছে। সবার কাহিনি, সবার চোখের জল এটা মিথ্যা? হাজার হাজার মেয়ে অংশ নিয়েছে, সবাই তো আর অ্যাক্টিং করতে পারে না। সবাই বানিয়ে কথা বলে? এটা হতে পারে না। হ্যাঁ, হতে পারে পাঁচশো-হাজার মেয়ের মধ্যে হয়তো একজন সত্যিটা এদিক-ওদিক বললো। কিন্তু সবাই হতে পারে না।’