যে সিনেমা তাঁকে ‘কিং অফ রোমান্স’-এর তকমা দিয়েছিল, প্রথমদিকে সেই সিনেমায় কাজ করতে নিমরাজি ছিলেন শাহরুখ খান। সেজন্য ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’-র রাজ মালহোত্রা ভূমিকায় সইফ আলি খানেদের বিবেচনাও করছিলেন পরিচালক আদিত্য চোপড়া।
‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে : আ মর্ডান ক্লাসিক’ বইয়ে সিনে দুনিয়ার সাংবাদিক অনুপমা জানিয়েছেন, কীভাবে রাজের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ। তিনি বলেন, ‘শাহরুখ ভেবেছিলেন, রোমান্স অত্যন্ত বিবর্ণ, জীর্ণ। মনোরম জায়গায় গান গাইতে ইচ্ছুক ছিলেন না এবং তারপর বলিউডের নিয়ম মেনে প্রেমিকার সঙ্গে পালানোর বিষয়ে ওঁর ইচ্ছা ছিল না। তাছাড়া সেই সময অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বাকি দুই খান - আমির এবং সলমন লাভার বয়ের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন এবং শাহরুখ নিজেকে হাটকে (আলাদা) অভিনেতা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন।’
ততদিনে ‘ডর’, ‘আনজাম’-এর মতো সিনেমা করে ফেলেছিলেন শাহরুখ। নেগেটিভ চরিত্রে তাঁর অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছিল। তবে নাছোড়বান্দা ছিলেন আদিত্য। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’-তে শাহরুখকেই নেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর ছিলেন। সেজন্য তিন সপ্তাহে একাধিক শাহরুখের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। কিন্তু একটা সময় আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এমনকী রাজের ভূমিকায় সইফ-সহ অন্যদের নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন নয়া পরিচালক।
সেই সময় ‘করণ অর্জুন’-এর শুটিং করছিলেন শাহরুখ। তাতে ছিলেন কাজল। তখনই ডিডিএলজে করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আদিত্যকে 'হ্যাঁ' বলেছিলেন। তারপর তো বাকিটা ইতিহাস। একটা সময় যে সিনেমা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, সেই সিনেমায় শাহরুখকে বলিউডের বাদশা করে তোলে। ভারতের সিনে জগতের ইতিহাসের সর্বকালের ক্লাসিক সিনেমায় তালিকায় জায়গা করে নেয় ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’। আর ট্রেনের দৃশ্য হোক বা সর্ষখেতে শাহরুখ ও কাজলের প্রেম - সেইসব দৃশ্যে আজও মুগ্ধ আসমুদ্রহিমাচল। যে সিনেমা আজ (মঙ্গলবার) ২৫ বছর পূর্ণ করল।