কোনও রাখঢাক না করেই ঋষি কাপুর জানিয়েছিলেন রাজেশ খান্না-কে সেভাবে মোটেই খুব একটা পছন্দ করতেন না তিনি।২০১৭ সালে নিজের আত্মজীবনী 'খুল্লাম খুল্লা'-র প্রচার সারাকালীন এক সাক্ষাৎকার চলার ফাঁকে রাজেশ খান্নার প্রসঙ্গ উঠলে নিজের স্বভাবচিত ভঙ্গিতে সরাসরি একপথ জানিয়েছিলেন অধুনা প্রয়াত এই বলি-অভিনেতা। অবশ্য তাঁর এই না-পসন্দের পিছনে থাকা 'ভুলভাল' যুক্তিও মজার সুরেই প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
'খুল্লাম খুল্লা'-তেও রাজেশ খান্নার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের রসায়নের ব্যাপারে ঝরঝরে ভঙ্গিতেই প্রকাশ করেছেন তিনি। সে প্রসঙ্গেই এনডিটিভি-কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে সামান্য ইতস্তত করে রাজেশ খান্নাকে অপছন্দ করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ঋষি বলেছিলেন, ' ওঁর ব্যাপারে এসব বললে ডিম্পল আমাকে খুন করে ফেলবে বটে...তবু ঠিক আছে কাকাজী তো আর এখন বেঁচে নেই, তাই এখন সেসব বলাই যায়। আসলে, উনি আমার নায়িকাকে আমার থেকে একপ্রকার ছিনিয়েই নিয়েছিলেন তাই সেই বিষয়টি নিয়ে একটা তিতকুটে মনোভাব তো ছিলই। তাছাড়া আর কোনও ব্যাপার ছিল না। এরপরে আমরা বেশ কিছু ছবিতে একসঙ্গে কাজও করি। এমনকি আমার পরিচালনায় উনি অভিনয়ও তো করেছিলেন'।

'খুল্লাম খুল্লা'-য় এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত লিখেছিলেন 'ববি'-র নায়ক। সেখানেই জানা যায় 'ববি' ছবির শুটিং চলাকালীন ইয়াসমিন নামের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে ভাব-ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ঋষির। ওদিকে তখন 'ববি'-র নায়িকা ডিম্পলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন রাজেশ। ইয়াসমিন ঋষিকে সেইসময়ে একটা আংটি উপহার দিয়েছিলেন। খুব দামি না হলেও ইয়াসমিনের থেকে পাওয়া ওই আংটিটি দারুণ পছন্দের ছিল ঋষির। একদিন বলা নেই, কওয়া নেই ঋষির থেকে ওই অংগীতিতে নিয়ে পরতে শুরু করেন ডিম্পল। এবার ডিম্পলের আঙুলে সেই সঙ্গতি দেখে রাজেশ জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন সেই আংটি ঋষির। অন্য নায়কের আংটি প্রেমিকার আঙুলে থাকবে ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেননি রাজেশ খান্না। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ডিম্পলের হাত থেকে আংটিটি খুলে সমুদ্রের জলে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। ব্যাপারটা জানতে পেরেই রাজেশের ওপর ভীষণ খাপ্পা হয়ে গেছিলেন ঋষি!
মজা করে অবশ্য আরও লিখেছিলেন, ' ডিম্পল আমার নায়িকা ছিল। তাঁকেও নিলেন রাজেশ। আমার প্রেমিকার দেওয়া আংটিও ওঁর কারণে আর ফেরত পেলাম না যা অত্যন্ত পছন্দ ছিল আমার। তাই রাজেশকে পছন্দ না করার হাজারটা কারণ ছিল আমার কাছে'। দীর্ঘ দু' বছর ক্যান্সারের বিরাসে লড়াই চালানোর পর ২০২০ সালে মৃত্যু হয় ঋষির। অবশ্য তার অনেক আগেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালে পরপারে চলে গেছিলেন রাজেশ।