অভিনেতা দীপঙ্কর দে’র বাড়িতে শোকের ছায়া। বুধবার রাতে প্রয়াত তাঁর বড় মেয়ে বৈশালী দে। বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত হৃদরোগ কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন অবিনতা নিজেই।
বৈশালী অভিনেতা দীপঙ্কর দে’র বড় মেয়ে। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে শোনা গিয়েছে। সেই কারণে তাঁকে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার রাতে সেখানেই প্রয়াত হন তিনি। দীপঙ্কর দে সংবাদমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার সকালে দুঃসংবাদটি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার রাতে বড়সড় হার্ট অ্যাটাক হয়। তাতেই আর শেষরক্ষা করা যায়নি। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বৈশালী। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর।
(আরও পড়ুন: ৪৫-এই প্রয়াত কবি, গীতিকার কিংশুক চট্টপাধ্যায়, শোকের আবহ সঙ্গীতজগতে)
পেশাগত ভাবে বিনোদন জগতের সঙ্গেই তিনি যুক্ত ছিলেন বলে শোনা গিয়েছে। বৈশালীর বিয়ে হয়েছিল অনিল কুরিয়াকোসের সঙ্গে। তিনিও বিনোদন জগতের সঙ্গেই যুক্ত। বৈশালীর এক বোনও আছে। তাঁর মৃত্যুর পরে গোটা পরিবারেই শোকের ছায়া।
গত কয়েক বছর ধরে অভিনেত্রী দোলন রায়ের সঙ্গে সংসার কাটাচ্ছেন দীপঙ্কর দে। মাত্র কয়েক বছর আগে তাঁরা খাতায় কলমে বিয়ে করলেও, বহু দিন ধরেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। আইনি বিয়ে নিয়ে সেই সময়ে দীপঙ্কর এবং দোলন আলোচনাতেও আসেন। সংবাদমাধ্যমকে দোলন জানিয়েছেন, দীপঙ্কর দে মানসিক ভাবে ভয়ঙ্কর ভেঙে পড়েছেন। দোলন এবং দীপঙ্কর মেয়েকে শেষ বারের জন্য দেখতেও গিয়েছিলেন। কাজ থেকে ছুটি পাননি বলে দোলন শ্যুটিং করতে ব্যস্ত। তবু তিনি সব সময়ে দীপঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং পাশে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।