দেখতে দেখতে বলিউডে এক দশকেরও বেশি সময় পার করে ফেলেছেন রণবীর সিং। ব্যান্ড, বাজা, বারাতের সঙ্গে বলিউডে সফল এন্ট্রি নেন সোনম কাপুরের তুতো ভাই। এরপর তাঁর ঝুলিতে আসে একের পর এক সাফল্য। রামলীলা, বাজিরাও মস্তানি, পদ্মাবত-এর মতো ছবির পাশাপাশি দিল ধড়কনে দো কিংবা সিম্বার মতো ছবিও রয়েছে তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে।
রণবীর তাঁর কেরিয়ারের একদম গোড়ার দিকে একটি পিরিয়ড ছবিতে কাজ করেছিলেন, যা বক্স অফিসে সেভাবে সাড়া না জাগালেও দর্শক মনে দাগ কাটতে সফল হয়। ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া 'লুটেরা' ছবিতে রণবীর সিং মুগ্ধ করেছেন অনেককেই। সোনাক্ষী সিনহার সঙ্গে রণবীরের রসায়ন চোখ টেনেছিল ভক্তদের। এই ছবির সেটের এক অজানা ঘটনা সম্প্রতি ফাঁস করলেন পরিচালক বিক্রম আদিত্য মোটওয়ানি।
ছবিটির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিক্রমাদিত্য বলেন, 'আমরা মার্চ মাসে ডালহৌসিতে আসি। আমরা দু'দিন ধরে শুটিং করেছি এবং রণবীর তার পিঠে আঘাত পেয়েছিল। তিনি ভালো আছেন, এমনটা জানিয়েছেন। পরের দিন, আমরা একটি দৃশ্যের শুটিং করেছি যেখানে রণবীর অভিনীত চরিত্রটি তার কোমর থেকে গুলি বের করবে ... এবার উন্মাদনায় মেতে উঠলেন রণবীর। আমি এখানে ব্যথা অনুভব করতে চাই এবং এটি পর্দায় প্রকাশ করতে চাই স্যার, এইসব দাবি নিয়ে সে আমাকে বলল, ‘স্যার, আমি ব্যথা অনুভব করতে চাই’। আমি বললাম, শুধু অভিনয় করো।
বিক্রম আরও বলেন, এরপর রণবীর তাঁর কোমরে কিছু কাগজ আটকানোর ক্লিপ চিপকে দেন এরপর পাহাড়ের উপরে এবং নীচে দৌড়াতে শুরু করেন, যাতে তাঁকে বিধ্বস্ত দেখায়, কারণ গুলিবিদ্ধ অবস্থার দৃশ্য ফুটিয়ে তুলবে হব তাঁকে। পরিচালকের কথাতয় ‘রণবীর এলেন, তারপর আমরা পুরো দৃশ্যের শুটিং করলাম। দিনের শেষে যখন রণবীর সেই ক্লিপগুলি কোমর থেকে বের করেন। ওখানে এত ব্যথা অনুভব করছিলেন যা বলার নয়। এরপর ওখানেই রণবীর সংজ্ঞা হারায়, তৎক্ষণাত তাঁকে ওই জায়গা থেকে বের করে আনতে হয়েছিল। পরের দিন ডালহৌসি থেকে ওকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যেতে হয়েছিল, এর জেরে শিডিউল বাতিল হয়ে যায়।’
বিক্রমাদিত্য সম্প্রতি থ্রিলার সিটিআরএল পরিচালনা করেছেন, যেখানে অনন্যা পান্ডে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ছবিটি ৪ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে এবং ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। আপাতত পিতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন রণবীর। আগামিতে তাঁকে দেখা যাবে সিংঘম ৩-তে। এছাড়াও ডন ৩-র মতো প্রোজেক্ট হাতে রয়েছে তাঁর।