গত ১৫ জুন কুড়ি বছর পেরোল 'গদর' ছবির মুক্তির তারিখ। ২০০১ সালে একইদিনে বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল 'গদর' এবং আমির খান অভিনীত ছবি 'লগান'। দুটি ছবিই যেভাবে বক্স অফিসে ইতিহাসে সৃষ্ট করেছিল তা এককথায় অবিশ্বাস্য! 'লগান' যেখানে অস্কারের মঞ্চে মনোনীত হয়ে ভারতীয় ছবির ইতিহাসে মাইলফলক তৈরি করেছিল, 'গদর' সেখানে বক্স অফিসে সমস্ত রেকর্ড ভেঙেচুরে দিয়েছিল। অনিল শর্মা পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি লাইমলাইটে ফিরে এসেছিলেন সানি দেওল এবং আমিশা প্যাটেল। বিশেষ করে ছবিতে 'তারা সিং'-এর চরিত্রে সানির দক্ষ অভিনয় আজও মনে রেখে দিয়েছেন দর্শক থেকে শুরু করে ফিল্ম সমালোচকের দল।
তবে একসময় বলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন ছিল 'গদর' এর মূল দুই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নাকি প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল গোবিন্দা এবং কাজলকে। সে প্রস্তাব তাঁরা পত্রপাঠ নাকচ করে দেওয়ার পর নাকি তা আসে সানি এবং আমিশার কাছে। বাকিটা ইতিহাস। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন 'গদর'-এর পরিচালক অনিল শর্মা স্বয়ং। তিনি জানিয়েছেন যে গোবিন্দাকে সবার আগে তিনি 'গদর' এর গল্প শুনিয়েছিলেন বটে কিন্তু কখনওই এই বলি-তারকাকে ওই ছবির জন্য 'ফাইনালাইজড' করেননি তিনি। পাশাপাশি কাজল ছাড়াও আরও একাধিক বলি-অভিনেত্রীকে এই ছবির নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।

অনিলের কথায়, ' তখন মহারাজা ছবির পরিচালনায় ব্যস্ত। গোবিন্দা সে ছবিতে নায়ক। একদিন শ্যুটিংয়ের ফাঁকে তাঁকে 'গদর' এর গল্প শুনিয়েছিলাম। প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। তা গোবিন্দা তো 'গদর' এর গল্প শুনে রীতিমতো আঁতকে উঠেছিল। অবাক হয়ে বলেছিল এই ধরণের গল্পকে ছবিতে বাস্তবায়িত করাটা কী করে সম্ভব। একে অত বাজেট, তার ওপর পাকিস্তানকে ছবির সেটে ও শ্যুটিংয়ে তৈরি করে 'রিক্রিয়েট' করাএককথায় অসম্ভব মনে হয়েছিল গোবিন্দার কাছে। এককথায় ভয় পেয়ে গেছিলেন গোবিন্দা!' তবে তিনি যে একমাত্র সানি দেওলকেই 'ফাইনালাইজড' করেছিলেন এই ছবির জন্য সেকথাও দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন অনিল।
তবে অনিল মনে করেন 'গদর' এর রিমেক ঠিক জমবে না। সানি ছাড়া একমাত্র যুবক বয়সের ধর্মেন্দ্র-কে 'তারা সিং'-এর চরিত্রে মানাতো বলেই তাঁর ধারণা। অন্যদিকে, আশরফ আলি'-র চরিত্রে প্রয়াত তারকা-অভিনেতা প্রাণকে দারুণ মানাতো বলে তাঁর মন্তব্য।