উত্তরোত্তর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ অবস্থা গুজরাতের। হাসপাতালে বেড না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে করোনা রোগীকে। টুইটারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিচালক হনসল মেহতা। জানালেন, ‘আমার খুব কাছের এক কাজিন ভাইকে করোনায় হারালাম। ওর স্ত্রী-র অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গুজরাটের করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক, যতটা খবরে দেখানো হচ্ছে তার থেকেও বেশি।’
মঙ্গলবার গুজরাটে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৬৯০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের। সংক্রমণ বাড়ায় জায়গা নেই হাসপাতালে। যার ফলে মিলছে না দরকারি চিকিৎসা। গুজরাটে প্রতিটা হাসপাতালের বাইরে এখন সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। আর প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সেই অপেক্ষা করছেন করোনা রোগীরা। কিন্তু, হাসপাতালে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। মোদির রাজ্যে কিছুদিন আগেই অক্সিজেনের অভাবে প্রবল শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত এক বাঙালি অধ্যাপিকার। তিনিও শত চেষ্টায় ভর্তি হতে পারেননি হাসপাতালে। ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই অধ্যাপিকা গুজরাত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি-র স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের ডিন ছিলেন।
দেশের যে ১০টি রাজ্যে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগের পরিস্থিতি নিয়েছে তার মধ্যে গুজরাত-ও রয়েছে। ওই রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। রবিবার, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গুজরাত হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহমেদাবাদ, সুরাট, ভদোদরা এবং রাজকোটে— এই চার শহরে লাগু হয়েছে নাইট কার্ফু। অভিযোগ, গুজরাট সরকার রাজ্যে কোভিডে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে। যদিও সে দাবি খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি।