গত কয়েকবছর ধরে যে সমস্ত ছবি নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মেঘ বুনোট বেঁধেছিল তাঁদের মধ্যে এগিয়ে আছে ‘৮৩’। ভারতের প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ ঘরে আনার গল্প দেখার জন্য দেশবাসীর উৎসাহ ছিল চরমে। যখনই প্রাক্তন ক্যাপ্টেন কপিল দেবের সাজে রণবীরের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে উঠেছে তুমুল আলোড়ন। তবে, সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন রিপোর্ট যেন সবটা ওলোটপালোট করে দিয়েছে।
যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা, ‘৮৩’র ভরে ভরে প্রশংসা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেখানে অ্যানালিসিস্টরা বলছেন, মার খাচ্ছে ছবিটি। সেভাবে ব্যবসা করতে পারছে না থিয়েটারে। প্রসঙ্গত, ৭ দিনে গোটা বিশ্বে ১১৫ কোটির ব্যবসা করেছে এই সিনেমা!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় ছবি পরিচালক কবীর খানকে। সিনেমা কতটা ব্যবসা করল এই নিয়ে নিজস্ব একটা যুক্তি তুলে ধরেছেন তিনি। সঙ্গে প্রকাশ করে ফেলেছেন খানিকটা বিরক্তিও। চলুন দেখে নেওয়া যাক কবীর খান নিজের সাক্ষাৎকারে কী বলেছেন--
‘আমরা সকলেই জানি এই মুহূর্তে বক্স অফিসে কী হচ্ছে। আমার তো মনে হয় এই মুহূর্তে বক্স অফিস নিয়ে কথা বলাও একটু ছোট মনের পরিচয়। আমরা একটা মহামারীর মধ্যে দিয়ে চলেছি। আমরা কখনও ভাবিনি যেই মুহূর্তে আমরা ছবিটা রিলিজ করব সেই মুহূর্তে দুটো রাজ্য নাইট কার্ফু ঘোষণা করে দেবে। আর ছবি মুক্তির দ্বিতীয় দিনে ৬টা রাজ্য চলে যাবে নাইট কার্ফুতে। আর চতুর্থ দিনে দিল্লির মতো জায়গা, যেখান থেকে বড় মাপের দর্শক পাই আমরা, সেখানে সিনেমাহল বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর এসবের মাঝে আমি বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারি না। আর আমি যদি সেটা করি তাহলে তা ৮৩-র স্পিরিটকে নষ্ট করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ওমিক্রন আতঙ্ক কার্যত ছেয়ে বসেছে চারিদিকে। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই সিনেমাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্য আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ভাবছে। বিশ্বে করোনা পরিস্থিতিই ফের সংকটে।
রণবীর সিং-র কপিল দেবের চরিত্রে অভিনয় করার প্রসঙ্গে কবীর খান জানিয়েছিলেন, ‘সবাই রণবীরের ফার্স্ট লুক দেখে বলেছিলেন পুরো কপিল দেবের মতো দেখতে লাগছে। আসলে কপিলের মতো দেখতে লাগাটা কিন্তু এই সিনেমার বড় বিষয় নয়। বরং এখানে দেখার ব্যাপার হল রণবীর কীভাবে কপিলের কথা বলা, অভিব্যক্তি থেকে শুরু করে দাঁড়ানো-হাঁটা চলা ফুটিয়ে তুলেছে। এটা শ্যুট করা যেমন চ্যালেঞ্জের ছিল, তেমন মজাদারও।’