পর্দায় এক ছক ভাঙা গল্প বলবেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। রাজনৈতিক আসছে নতুন ওয়েব সিরিজ। নাম ‘রক্তপলাশ’। জঙ্গলমহল ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে আবর্তিত করে এগোবে ওয়েব সিরিজের গল্প।
সিরিজে অভিনয় করছেন শিলাজিৎ, দেবদূত ঘোষ, অনন্যা সেনগুপ্ত, উৎসব মুখোপাধ্যায়, রোজা পারমিতা দে, অসীম রায় চৌধুরী, শুভজিৎ কর, মৌমিতা পণ্ডিত, দীপঙ্কর, মৌসুমি দালাল, বেবী তামান্না, কোয়েল মিত্র, সুব্রত দাসগুপ্ত ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলে অবস্থিত সুরম্য ফক্সহোল রিসোর্টে বেড়াতে আসা সমাজের সাতজন বিশিষ্ট উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় ‘রক্তপলাশ’-এর গল্প।
মুক্তি পেল ছবির প্রথম পোস্টার। জঙ্গলমহলে একটি শিশুকন্যার ভয়ে দৌড়ে বেড়ানোর ছবি উঠে এসেছে পোস্টারে। রক্তে ভেজা পলাশের গল্প ফুটে উঠবে ছবিতে।
শুরুতে সবাই ভ্রমণবিলাসে মজে গেলেও, নৈশ-আড্ডায় রিসোর্ট মালিকের প্ররোচনায় গল্পের পরতে পরতে সেই বিশিষ্টজনেদের অতীত জীবনের লুকিয়ে থাকা অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস।

এরই মধ্যে জঙ্গলে নিছক ছুটি কাটাতে আসা, আপাতভাবে নিষ্পাপ মানুষগুলি হঠাৎ করেই আধাসামরিক বাহিনী ও একদল চরমপন্থীর লড়াইয়ে মাঝে পড়ে। তখনি সভ্য যাপনের শহুরে মুখোশ খুলে গিয়ে তাঁদের ভেতরে থাকা স্বার্থপর চারিত্রিক বৈশিষ্টগুলি ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। সাত ব্যক্তির আভ্যন্তরীণ সাদা-কালোর দ্বন্দগুলো উন্মুক্ত হতে না হতেই তারা রিসোর্টে বন্দি হয়ে পড়েন মুক্তিপনের টোপ হিসেবে।
প্রশ্ন ওঠে একজোট হয়ে সাতজনের বাঁচার লড়াইয়ে সামিল হওয়ার। চরমপন্থীদের দেওয়া ঘণ্টা-চারেক সময়ের মাঝেই প্রশাসনের তরফে নিযুক্ত হন এক সরকারি মধ্যস্থতাকারী। তাঁদের মধ্যে কেই বা করলেন বিশ্বাসঘাতকতা? কী ছিল তাঁদের পুরোনো পাপ? কেনই বা তাঁদের পণবন্দী হতে হলো চরমপন্থীদের হাতে? কীভাবে প্রশাসন পৌঁছবে তাঁদের কাছে? বন্দিরা কি আদৌ চরমপন্থীদের হাত থেকে রেহাই পাবেন? আদিম জঙ্গলের উপদ্রুত অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে এই টানটান রোমাঞ্চ ও রহস্যের গল্প ‘রক্তপলাশ’। ওটিটি প্লাটফর্ম ক্লিকে শীঘ্রই মুক্তি পাবে এই ওয়েব সিরিজ।