বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > প্রয়াত জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত বর্ষীয়ান পরিচালক নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। এরই মধ্যে ধরা পড়ে ক্যানসার। দিন কয়েক আগে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। একটু সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন কিছুদিন ধরে। 

বার্লিনজয়ী দ্বিতীয় বাঙালি ছিলেন নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রবিবার ভোরে ক্যাওড়াতলা মহাশশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। টলিপাড়ায় তিনি ন্যাপাদা নামেই পরিচিত ছিলেন।

নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম পূর্ববঙ্গের ফরিদপুরে। ১৯২৭ সালের ১৫ অগস্ট জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এরপর সেখানে ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়াশোনা। ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য নিয়ে স্নাতক তিনি। দীর্ঘদিন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

১৯৮৪ সালে ‘ভোম্বল সর্দার’ ছবির জন্য ছোটদের ছবির বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পান। এরপরই মাস খানেকের মধ্যে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল পরিচালকের ছবি। বহু তথ্যচিত্র বানিয়েছেন তিনি। পরিচালক মৃণাল সেনের উপর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন। নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘ভোম্বল সর্দার’ দ্বিতীয় বাংলা ছবি হিসাবে বার্লিন পাড়ি দিয়েছিল। তবে বেশ সাদামাদা প্রকৃকির মানুষ ছিলেন তিনি। নিজেকে হামেশা লাইমলাইট থেকে দূরে রাখতেন। 

১৯৫৬ সালে হীরেন বসু পরিচালিত ছবি একতারা-তে সহকারী পরিচালক হিসেবে হাতেখড়ি হয়। ‘রাজধানী থেকে পালিয়ে’, ‘অভিযান’ সহ বেশ কিছু ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। ‘মেজদিদি’, ‘অন্তর্জলি’-র মতো টেলিফিল্ম পরিচালনা করেছেন। সিনেমার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিও পরিচালনা করেছেন তিনি। বিখ্যাত কিছু উপন্যাস বড় পর্দায় ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি সেই সময়কার গল্প সিনেপর্দায় তুলে ধরেছেন। পরিচালকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই।

 

বন্ধ করুন