নেটফ্লিক্সের নতুন ডকু-সিরিজ ‘দ্য রোশনস’, প্রয়াত সুরকার রোশনের পারিবারিক জীবনকে অনুরাগীদের কাছে তুলে ধরে। এই সিরিজে রাকেশ রোশন, রাজেশ রোশন এবং হৃতিক রোশন সহ বলিউডের বেশ কয়েকজন বড় তারকার সাক্ষাৎকারও রয়েছে। শোয়ের নির্মাতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা শশীরঞ্জন, এই ডকু সিরিজ নিয়ে Hindustan Times-কে নানান কথা বলেছেন।
শশীরঞ্জন অনুভব করেন যে এই ফর্ম্যাটে প্রয়াত রোশনের গল্প বলার একটি জায়গা রয়েছে, যা তাঁকে সিরিজটি তৈরি করতে বাধ্য করেছে। ভারতে অডিওভিজুয়াল ফরম্যাটে কোনও ডকুমেন্টেশন নেই। তাই জায়গা ছিল। আর রোশন সাহেবের কাজ নিজেই কথা বলে'।
পুরো নাম রোশন লাল নাগরথ, সুরকার তাঁর প্রথম নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৪৮-৬৭ সাল পর্যন্ত হিন্দি ছবিতে সুরকার হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। নিজের কেরিয়ারে তিনি বেশ কয়েকটি চার্টবাস্টার এবং সর্বকালের সেরা কিছু ক্লাসিক গান উপহার দিয়েছেন। তবে সুরকার রোশনের নাম নওশাদ, লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলালের মতো সমসাময়িক বা তাঁর জুনিয়র আরডি বর্মনের থেকে খুব কমই আলোচিত হয়। যে বিষয়টিতে মোটেও খুশি নন সুরকার রোশনের ছেলে রাকেশ রোশন। এমনটাই জানিয়েছেন ডকু-সিরিজের পরিচালক শশীরঞ্জন। আর এটাই তাঁকে ডকু-সিরিজের জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
আরও পড়ুন-নাদানিয়ায় ইব্রাহিম ও খুশির বাবা মায়ের ভূমিকায় এই ৪ সেলিব্রেটি, কারা তাঁরা?
শশীরঞ্জন বলেন, ‘আমি ওঁর (রাকেশ রোশন) খান্ডালার ফার্ম হাউসে ছিলাম। আমি ওঁকে রোশান সাহেবের বেশকিছু গান শুনিয়েছি, তিনি শুনে এগুলির প্রশংসাও করেন। শশীরঞ্জন বলেন একটি সংস্থা রেট্রো গানের একটি যন্ত্র বের করেছে। এটিতে বেশ কয়েকজন সুরকার, গায়ক এবং এমনকি গীতিকারদের প্লেলিস্ট ছিল। রাকেশ রোশন আমাকে বলেন, শশী, আমি এত দুঃখ পেয়েছি, যে আমি যখন আমার বাবার নাম খুঁজছিলেন, তখন সেখানে বাবার নাম ছিল না। আমার মনে হয় এটা ওঁকে (রাকেশন রোশনকে) কোথাও আঘাত করেছে।’
শশীরঞ্জন বলেন, রাকেশ রোশনই তাঁকে রোশন সাহেবের জীবন নিয়ে এই তথ্যচিত্র তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছে তাঁর সুরকার বাবার সম্পর্কে লোকজনের জানা উচিত। তাঁর কাছের আরও অনেককিছু ভালো প্রাপ্য রয়েছে।' রাকেশ রোশন তাঁকে তাঁর পরিবারের তরুণ প্রজন্মের উপরও একটি ডকু-সিরিজের পরামর্শ দিয়েছেন। আর এইভাবে, ‘দ্য রোশনস’ ডকু সিরিজটি তৈরি হয়।
এই মুহূর্তে নেটফ্লিক্সে ‘দ্য রোশনস’-এর স্ট্রিমিং হচ্ছে।