পর্দাজুড়ে আরও এক ভালোবাসার গল্প তুলে ধরবেন পরিচালক সৌম্যজিত আদক। 'অল্প হলেও সত্যি'র পর ফের বড়পর্দায় জুটি বাঁধছেন সৌরভ দাস ও দর্শনা বণিক। ছবির নাম ‘হৃদয়পুর’। প্রেম, ভালোবাসা, রহস্যে ভরপুর এই ছবি। ছবির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন অর্ণ মুখোপাধ্যায়, ঐশ্বর্য সেন।
ছবির প্রযোজনায় প্রদীপ বাজাজ ও অরিজিৎ বোস। হোয়াইটস ফেদারস প্রোডাকশন ও কলকাতা ফিল্মসের ব্যানারে মুক্তি পাবে ‘হৃদয়পুর’। আগামী ১ অগস্ট থেকে শুরু হবে ছবির শ্যুটিং। ছবির বিষয়বস্তুর খোঁজ করতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা যোগাযোগ করেছিল পরিচালক সৌম্যজিত আদকের সঙ্গে।
‘হৃদয়পুর’ ছবির গল্পটা ঠিক কেমন ভাবে এগোবে?
একটা গ্রামের গল্প। যেই গ্রামের নাম হৃদয়পুর। এই গ্রামের মানুষের গল্পই বলবে ‘হৃদয়পুর’ সিনেমা। গ্রামের মানুষের হৃদয়ের যে বিভিন্ন আবেগ কেউ ভালো আছে, কেউ দুঃখে আছে, কেউ রাগ-ক্ষোভে আছে, সেগুলি দেখতে পাব।
বলা যায়, এটা রাজনৈতিক পাশাপাশি সামাজিক গল্প। সম্পর্কের গল্প যেমন উঠে আসবে, তার সঙ্গে রাজনৈতিক এ ক্ষেত্রে ভোটের রাজনীতি নয়, কর্মক্ষেত্রে বা ভিন্ন ক্ষেত্রে যে রাজনীতি চলে সেই দিনটা দেখা যাবে। ওই হৃদয়পুর গ্রামকে কেন্দ্র করেই গল্প।
ছবিতে সৌরভ ও দর্শনাকে কে চরিত্রে দেখা যাবে?
সৌরভকে দেখা যাবে গ্রামের এক চিকিৎসকের চরিত্রে। ওঁর চরিত্রের নামও ‘সৌরভ’। চাকরি সূত্রে শহর থেকে গ্রামে যেতে হয় তাঁকে। খুবই সাধারণ এক চরিত্র। যে নিজে একজন ভালো মানুষ, মানুষে ভালোর জন্য কাজ করতে চায়। সেই উদ্দেশ্যেই গ্রামে এসে মানুষের চিকিৎসা শুরু করা এবং পাশে দাঁড়ানো।
দর্শনাকে দেখা যাবে ‘শ্রেয়া’ নামের চরিত্রে। ওই গ্রামেরই মোড়লের মেয়ে শ্রেয়া। পড়াশোনা করেছে বোলপুরে। স্বভাবে দাম্ভিক হলেও অন্তর থেকে সে সহজ-সরল। সে-ও মানুষের ভালো করতে চায়। গল্পের মূল স্রোত ভেসে চলে সৌরভ-শ্রেয়ার প্রেম কাহিনি ঘিরে।
সৌরভ ও দর্শনার প্রেমের গুঞ্জন রটেছে, সত্যিই কী তারা প্রেম করছে? ‘হৃদয়পুর’ পরিচালক সৌম্যজিত কী বলছে?
সৌরভ ও দর্শনা প্রেম করলে সবার আগে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট আমিই করতাম। দু'জনেই আমার খুব ভালো বন্ধু। এখনও পর্যন্ত কিছু বলেনি। আমার সঙ্গেই রাতদিন থাকে। বলেও-না কিছু। বুঝতেও পারিনা। আমিও বার বার বলি, ‘তোরা কর না একটু প্রেম। লোকে এই রকম বলছে।’
তবু দু'জনে এমনই একটা মনোভাব দেখায় যেন ভুল করে বন্ধু হয়ে গিয়েছে। ‘অল্প হলেও সত্যি’ (পরিচালনায় সৌম্যজিত) ছবি থেকে ওদের বন্ধুত্ব আরও বেড়েছে। ওই বন্ধুত্ব বেড়ে যাওয়ার পর থেকে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, পরিচালক হিসেবে আমারও ভালো লাগে। তবে সত্যি বলতে এখনও হয়নি। ওরা একে অপরকে পছন্দ করলে আমারও ভালো লাগত।
‘আন্তর্জাতিক চুমু দিবসে’ চুমু খাচ্ছেন ‘হৃদয়পুর’ পরিচালক?
মাকে তো অবশ্যই চুমু খাবো। আর প্রেমিকা! তাকে চুমু খেয়ে সকলকে জানাতে আছে! ওটা গোপনই থাক।