বল পাইথন পুষেছেন সৃজিত। একটা নয়, তাও আবার ৪টে! এখবর তো পুরনো। আগেও অবশ্য সেই পোষ্যের ছবি শেয়ার করেছেন। আরও একবার পোষ্যকে গলায় জড়িয়ে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যদিও ছবি দেখে মনে হচ্ছে ইনি অন্যজন! অর্থাৎ পরিচালক সৃজিত আগে যে বল পাইথনের ছবি দিয়েছিলেন, নতুন পাইথনের ছবিটির সঙ্গে আগে পোস্ট করা ছবিগুলির মিল নেই। আর তাতেই বোঝা যাচ্ছে ইনি অন্যজন।
পোষ্যর ছবি দিয়ে সৃজিত লিখেছেন, ‘এটা আমার বড় নাগিনী’। অর্থাৎ ছবিতে দেখা যাচ্ছে সৃজিত হলুদ টি-শার্ট পরে বসে রয়েছেন। আর তাঁর গলায় জড়ানো মোটাসোটা একটা সাপ। যে পোস্টের নিচে অনেকেই কমেন্ট করেছেন, ‘ওরে বাপ রে!’ কেউ লিখেছেন, ‘বাপ রে বাপ!’
আরও পড়ুন-‘পিরিয়ডস কা মতলব…', স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে ঋতুস্রাব নিয়ে গান জুড়লেন শ্রেয়া ও সুনিধি
এর আগে নিজের আগামী ছবি 'সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই'-এর লোকেশন খুঁজতে গিয়েও একটি বল পাইথন-কে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন সৃজিত। তখনও তাকে গলা জড়িয়ে ছবি দিয়েছিল। তবে এবারের ছবিটিতে যাকে দেখা যাচ্ছে, সৃজিতের কথা মতো তিনিই সকলের থেকে বড়। তারও আগে বিছানায় শুয়ে আরও একটি বল পাইথনের ছবি দিয়েছিলেন। সেটি ছিল সৃজিতের আদরের উলুপি।
এর আগে সৃজিতপত্নী মিথিলাই প্রথম ফাঁস করেছিলেন, সৃজিতের ১টা নয়। আদপে ৪টে বল পাইথন আছে। আগে ওটিটি প্লেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিথিলা জানিয়েছেন, 'সৃজিত আমাকে চমক দিতে কখনই ভোলে না। আমি উলুপির কথা জানতাম। কিন্তু এখন এসে দেখলাম একটা নয় ওর সঙ্গে আরও তিনটি বল পাইথন আছে।' মিথিলা তখন বলেছিলেন, 'সত্যি বলতে আমি পাইথন বা সাপের একেবারেই ভক্ত নই। তাই আমি নিশ্চিত নই যে গোটা বিষয়টায় আমি কেমন ফিল করতে চলেছি। কিন্তু আমি সৃজিতকে বাধাও দিইনি।'
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা পরিচিতদের নানান প্রশ্নে পোষ্য বল পাইথনদের নিয়ে নানান তথ্য দিয়েছিলেন সৃজিত। পরিচালক জানিয়েছিলেন, ইঁদুর কিংবা হ্যামস্টার (ইঁদুর জাতীয় প্রাণী। তবে ইঁদুরই ওঁর প্রয়োজন, হামস্টারটা লাক্সারি। সেসময় অনিন্দিতা সর্বাধিকারীর প্রশ্নে সৃজিত জানিয়েছিলেন, তাঁর এই মেয়েরা ৭ দিনে একবার ইঁদুর খায়। এমনকি লেখিকা সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পরিচালককে তাঁর মেয়ের জন্য কী উপহার নিয়ে যাবেন, প্রশ্ন করেছিলেন, তখন সৃজিত তাঁকে ইঁদুর কিংবা অ্যাকোরিয়ামের পাথর নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।