কিছু মানুষ হঠাৎই মনে জায়গা করে নেয়! তেমনই এক নাম এখন কিঞ্জল নন্দ। তিনি ডাক্তার যেমন, তেমন অভিনেতাও। থিয়েটার-সিনেমার পরিচিত মুখ। তবে এখন কিঞ্জল হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছেন, জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের মুখ হিসেবে। এবার ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীকে নিয়ে পোস্ট করলেন, টলিউডের পরিচালক প্রতীম ডি. গুপ্তা।
কিঞ্জলের একটি ছবি শেয়ার করে পরিচালক লিখেছেন, ‘একই উদ্দেশ্য নিয়ে লড়াই করা গোষ্ঠীর মধ্যে একজনকে আলাদা করা ঠিক নয়। কিন্তু যেহেতু সে আমার ভ্রাতৃসুলভ, তাই আমি কিঞ্জল নন্দকে আলাদা করে প্রশংসা না করে পারছি না। আমি এর আগে তাঁর কয়েকটি অন-স্ক্রিন কাজ দেখেছি এবং সত্যিই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মনে হয়েছে (এমনকী এখানে সেরা অভিনেতারাও একটি চরিত্রের জন্য শারীরিকভাবে রূপান্তর করতে অস্বীকার করেন যাতে অন্য কাজ হারাতে না হয়) এবং তার অভিনয়ে থাকা আন্তরিকতা। এবং এখন এটা বেশ স্পষ্ট যে এই আন্তরিকতা তার গভীর সততা এবং বড় হৃদয় থেকে আসে। সামনে থেকে এরকম প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেওয়া এবং দিনে দিনে তা চালিয়ে যাওয়া… তুমি এক অসাধারণ মানুষ।’,
তিনি আরও লেখেন, ‘যদি তুমিও রাজি থাকো, কোনো একদিন আমি তোমার সঙ্গে কাজ করতে চাই, কিঞ্জল। এটি আমার কাছে হবে বড় সম্মানের।’, আরও লিখেছেন প্রতীম।
এই পোস্টে এক নেট-নাগরিক মন্তব্য করেছেন, ‘কিঞ্জলবাবুকে অনেক দিন থেকেই দেখছি, সেই তাঁর ছায়াছবি ‘হীরালাল’ বড় পর্দায় দেখার পর থেকে। প্রচারের লাইমলাইটে থাকেন না (আমাদের মিডিয়া তো শুধু স্টার-দের নিয়েই ব্যস্ত), তবে অভিনেতা হিসেবে যে কঠোর পরিশ্রম ক'রে একদম উৎকৃষ্ট মানের কাজ দেখিয়েছিলেন, তা আমাদের চলচ্চিত্র জগতে বিরল। এখন একজন ডাক্তার হিসেবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁকে স্যালুট!’
আরেকজন লিখলেন, ‘কিন্জ্ঞল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। ওর যখন ফাইনাল ইয়ার তখন রিহার্সাল চলছিল 'অন্বষক' প্রযোজিত নাটক 'অস্তিত্ব'র। সেই নাটকে একটি ছোট্ট অসামান্য রোল ছিল, কলেজ করে মহড়া শেষ করে রাত জেগে পড়ার গল্প হতো ওর সঙ্গে। ওর মিষ্টি স্বভাবের জন্য ওকে না ভালোবেসে পারা যায় না। নিষ্ঠা ও উদ্যম দুটোই ছিল তাই মঞ্চে সফল হওয়ার পর চলচ্চিত্রেও নিজের জায়গা করে নেয় অভিনয়ের গুণে। আজ ওকে রাস্তায় জলে রোদে দেখে আরো স্নেহের সঙ্গে শ্রদ্ধা বাড়লো। হোক না ছোট, ও এটার যোগ্য।’