প্রাক্তন বলি অভিনেত্রী তথা সলমন খানের বান্ধবী সোমি আলি সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছেন, বি-টাউনে ‘মিসফিট’ তিনি। তবে মায়ানগরীতে মাত্র ৭ বছর দীর্ঘ কেরিয়ারে বহু হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে সোমি আলিকে, সেকথা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন এই পাক অভিনেত্রী।
বেশ কিছু পরিচালক সোমির ফায়দা তোলবার চেষ্টা করেছিলেন নব্বইয়ের দশকে, পাশাপাশি অ্যাবিউসিভ প্রেম সম্পর্কের মধ্যে দিয়েও গিয়েছেন তিনি জানিয়েছেন সোমি। জুম চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সোমি বলেন, ‘কয়েকজন পরিচালক চেষ্টা করেছিল আমার সঙ্গে সেক্স করবার। আমি একটা মারত্মক অ্যাবিউসিভ সম্পর্কেও ছিলাম। তাই সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা (বলিউড) খুব খারাপ’। বলিউডে ফিরে আসবার কোনও ইচ্ছাই নেই সোমির, সেকথাও জানান তিনি।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে সলমন খানকে বিয়ে করবার লক্ষ্য নিয়ে ভারতে ‘পালিয়ে’ এসেছিলেন সোমি। সিনেমার গল্পের মতোই স্বপ্নের নায়ককে কাছে পেতেই বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেন সোমি। আট বছর সলমনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন সোমি। সলমন তাঁকে ‘ধোঁকা’ দিয়েছিলেন, সেই কারণেই ভাঙে তাঁদের প্রেম সম্পর্ক। এমনটাই দাবি করেছেন সোমি আলি। এই সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন অভিনেত্রী জানান, '২০ বছর হয়ে গেছে আমাদের সম্পর্ক ভাঙার। ও আমাকে ধোঁকা দিয়েছিল এবং আমি সম্পর্ক ভেঙে দিই, এবং মুম্বই ছেড়ে চিরকালের মতো চলে যাই। হিসাবটা খুব পরিষ্কার’। সলমনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর বলিউডের গ্ল্যামার দুনিয়া তাঁর কাছে অর্থহীন ছিল, তাই মুম্বই ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও আফসোস নেই তাঁর। তিনি বলেন, ‘আমি ভারতে কোনওদিনই বলিউডের অংশ হতে যায়নি। সম্পর্ক ভাঙার পর ওখানে থাকার কোনও কারণ ছিল না’।

সাত বছরের ফিল্মি কেরিয়ারে ‘বুলন্দ’, ‘কৃষণ অবতার’, ‘অন্ত’, ‘আও প্যায়ার করে’, ‘আন্দোলন’, ‘তিসরা কৌন’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন সোমি আলি। সইফ আলি খান, মিঠুন চক্রবর্তী, সুনীল শেট্টির মতো তারকাদের নায়িকা হিসাবে কাজ করেছেন সোমি।
১৯৯৯ সালে সলমনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ভাঙার বেশ কয়েক বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান সোমি। সেখানে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন। এরপর লেখিকা, সমাজকর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় করে তুলেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী।'নো মোর টিয়ারস' নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোমি। কাজ করেন দক্ষিণ এশিয়ার পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে।