শহরে ফিরলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের প্রেমিক রোহন রাই। মুম্বই ফিরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রোহন, বলা হয়েছে ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদনে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হচ্ছিল খোঁজ নেই রোহন রাইয়ের। এরপর বলা হয় শ্যুটিংয়ের কাজে হরিয়ানা গিয়েছেন রোহন। বিজেপি বিধায়ক নীতিশ রানেও রিপাপলিক টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে দাবি করেন ‘রোহন ৮ জুনের ঘটনাক্রম সম্পর্কে সিবিআইকে সব তথ্য দিক, না হলে আমি তদন্তকারীদের সত্যিটা বলতে বাধ্য হব’। উল্লেখ্য সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক পাঁচ দিন আগে, ৮ জুনের রাতে মুম্বইয়ের মালাদের এক হাইরাইজের ১৪ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় দিশা সালিয়ানের। এই রহস্যমৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই দাবি করে মুম্বই পুলিশ। রোহন রাইয়ের ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকেই নীচে পড়বার জেরে মৃত্যু হয় দিশা সালিয়ানের।
সুশান্ত সিং রাজপুতকে ম্যানেজ করত যে সেলেব ম্যানজমেন্ট কোম্পানি সেই কর্নারস্টোনে কর্মরত ছিলেন দিশা।
দিশা ও সুশান্তের মৃত্যুর কোনওরকম যোগসাজশ নেই, দাবি করেছে মুম্বই পুলিশ।দিশার প্রেমকিকেও ক্লিনচিট দিয়েছে উদ্ধব সরকারের পুলিশ। যদিও সিবিআই সুশান্তের মৃত্যু মামলার সঙ্গে দিশার যোগ খতিয়ে দেখছে। এই মামলায় দফায় দফায় সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়ছে হয়েছে কর্নার স্টোন কোম্পানির ডিরেক্টর বান্টি সচদেবকে। সূত্রের খবর এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন রোহন রাইও।
এখনও দিশা সালিয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্লোজার রিপোর্ট ফাইল করেনি মুম্বই পুলিশ। তবে আত্মহত্যাই করেছেন দিশা, সেটাই ধারণা তদন্তকারীদের।
নীতিশ রানে এমনও দাবি করেছেন ৮ জুন মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগেই নাকি পুলিশের হেলপ লাইন নম্বরে (১০০) ফোন কেরছিলেন দিশা। তবে মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন মৃত্যুর আগে দিশা শেষ ফোন করেন তাঁর বান্ধবী অঙ্কিতাকে। কোনওভাবেই ১০০ নম্বরে ফোন করবার কোনও চেষ্টা দিশা করেছিল বলে জানা যায়নি'।