দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে গ্রামের পোস্ট অফিস, আর তার ভাঙাচোরা কোয়ার্টার। সেটা নাকি 'ভুতুড়ে' এমনটাই মনে করেন গ্রামবাসীরা। তাই সকাল সকাল পোস্ট অফিসের মধ্যে আওয়াজ শুনে সকলেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সাহস করে দরজায় ঢিল মারতেই সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন নতুন পোস্ট মাস্টার দামোদর দাস। সকলে একটু ঘাবড়েই গেলেন, তবে ক্ষণিক পরেই ভুল ভাঙল। নতুন পোস্টমাস্টার আসার খুশিতে দামোদরের গলায় পরানো হল গাঁদাফুলের মালা। রবিবার মুক্তি পাওয়া 'ডাকঘর'-এর ট্রেলারের শুরুটা ছিল এমনই।
দিতিপ্রিয়া রায় ও সুহোত্র মুখোপাধ্যায়ের 'ডাকঘর'-এর ট্রেলারের শুরুটা দেখে এটি একটি গ্রামের সাধারণ প্রেমের গল্প বলে মনে হলেও, সেটা আদৌ নয়। ট্রেলারের শেষ বেশ বোঝা গেল একটি চিঠি যে অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে। ট্রেলারে দিতিপ্রিয়া রায়কে গ্রামের কিশোরী ‘মঞ্জরী’র বেশে দেখা গেল, তাঁকে দেখে মনে পড়ে গেল দিতিপ্রিয়ার 'আয় খুকু আয়'-এর সেই চরিত্র এবং লুক। অন্যদিকে পোস্টমাস্টার দামোদর দাসের ভূমিকায় দেখা গেল সুহোত্র মুখোপাধ্যায়কে। ট্রেলারে দেখা যায় গ্রামের ভাঙা পোস্ট অফিস ও কোয়ার্টারেই গুছিয়ে নিয়ে থাকতে শুরু করেন দামোদর, তাঁর সঙ্গে গ্রামের কিশোরী মঞ্জুরীর সখ্যতা তৈরি হয়। গ্রামের মেঠো সুরেই বয়ে চলছিল তাঁদের সম্পর্ক। হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়ার মতো একটি চিঠি এসে সবকিছু বদলে যায়। চিঠির কারণে চলে যায় একটি প্রাণ। টানাপোড়েন শুরু হয় দামোদরের জীবন নিয়েও। কিন্তু তারপর?
ট্রেলারের শুরুতে কাঞ্চন মল্লিককে আপাতদৃষ্টিতে সহজ-সরল গ্রামের মানুষ মনে হলেও বোঝা যায়, তাঁর মধ্যেই রয়েছে অন্যকোনও কঠিন চরিত্র। বোঝা গিয়েছে এই ওয়েব সিরিজে রাজনৈতিক একটা প্রেক্ষাপটও উঠে আসবে। ট্রেলারে দেখা মিলেছে অতনু বর্মনের। ট্রেলারে দিতিপ্রিয়া ও পোস্টামাস্টার বেশে সুহোত্রর লুক, পুরো পটভূমিতে ধরা পড়েছে গ্রাম-বাংলার চেনা ছবি। অনেকে আবার এই ট্রেলারে খুঁজে পেয়েছেন হিন্দি ওয়েব সিরিজ 'পঞ্চায়েত'-এর ছায়া। সোশ্য়াল মিডিয়ায় উঠে এসেছে আরও অনেক মন্তব্য। কেউ আবার লিখেছেন, 'কুস্তি সিনেমাটার কথা মনে পড় গেলো।' কারোর মন্তব্য তাঁরা আর অপেক্ষা করতে পারছেন না, ওয়েব সিরিজটি দেখতে চান।
এদিকে 'ডাকঘর'-এ দিতিপ্রিয়া সুহোত্র-র প্রেম কোন দিকে এগোবে, আদৌ সেটা পূর্ণতা পাবে কিনা, একটা চিঠি তাঁদের জীবনকে কতটা প্রভাব ফেলবে তা ২৪ ফেব্রুয়ারি ওয়েব সিরিজের স্ট্রিমিং শুরু হওয়ার পরই জানা যাবে।