তখনও তিনি 'মুন্না ভাইয়া' নন। একটু একটু করে শিখে নিচ্ছিলেন বলিউডের 'অ-আ-ক-খ'। তেমনই সময় 'প্যায়ার কা পঞ্চনামা'য় অভিনয়ের সুযোগ আসে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যান দিব্যেন্দু শর্মা।
২০১১ সালে লভ রঞ্জন পরিচালিত সেই ছবিতে কার্তিক আরিয়ানকে সহ-অভিনেতা হিসেবে পেয়েছিলেন দিব্যেন্দু। তাঁর মতোই কার্তিকও তখন নিছক নবাগত। ইন্ডাস্ট্রিতে পায়ের তলার মাটি শক্ত করার চেষ্টায় বুঁদ। কাজের সূত্রেই দু'জনের বন্ধুত্ব। কিন্তু সহকর্মীর থেকে কি কিছু শিখতে পেরেছিলেন দিব্যেন্দু? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন রাখা হয় অভিনেতার কাছে।
দিব্যেন্দু বলেন, 'ও (কার্তিক) তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। ওর থেকে কিছুই শেখার ছিল না। বরং আমি ওকে শিখিয়েছিলাম। ও তখন সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে। কাজটা পেয়ে খুশি ছিল। ওর খুশি দেখে আমারও ভালো লাগত।'
(আরও পড়ুন: বদলে গেল কার্তিক-কিয়ারার ‘সত্যনারায়ণ কি কথা’-র নাম, ছবি নিয়ে বড় ঘোষণা)
এক দশক আগে তথাকথিত কোনও 'তারকা', ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার ছাড়াই বক্স অফিসে উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করে ছবিটি। প্রশংসিত হয়েছিলেন কার্তিক, দিব্যেন্দুও।
২০১৫ সালে মুক্তি প্রায় ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় ছবি। সেখানে কার্তিক থাকলেও ছিলেন না দিব্যেন্দু। অভিনেতা বলেন, 'আমি একই চরিত্র, একই কাজ আবার করতে চাইনি। লিকুইড হিসেবে আমার যা যা দেওয়ার ছিল, তা প্রথম কিস্তিতে দিয়ে দিয়েছি।'
(আরও পড়ুন: করণের শো'তে তাঁকে নকল করতে গিয়ে কোথায় ভুল করেছেন রণবীর? ধরিয়ে দিলেন কার্তিক!)
বলিউডে এক দর্শকেরও বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন দিব্যেন্দু। ২০০৭ সালে যশরাজ ফিল্মসের 'আজা নাচলে'-তে একটি ছোট চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। এর পরেই তাঁর ঝুলিতে আসে 'প্যায়ার কা পঞ্চনামা।' এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক ছবি করে যান। তবে রূপকথার সাফল্য আসে 'মির্জাপুর' সিরিজের হাত ধরে। 'মুন্না ভাইয়া' হিসেবে দর্শক-মনে ছাপ রাখেন তিনি।
(আরও পড়ুন: সাজিদ নাদিয়াওয়ালা-কবীর খানের ছবিতে কার্তিক! টক্কর দিচ্ছেন বলিউডের বাঘা নায়কদের)
অন্য দিকে, কার্তিকও এখন ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতা। কাজ করছেন নামী সব পরিচালকদের সঙ্গে। তাঁর 'ভুল ভুলাইয়া'র হাত ধরেই বক্স অফিসের খরা কাটিয়ে উঠেছে বলিউড। আপাতত তাঁর হাতে একগুচ্ছ কাজ।
(আরও পড়ুন: আলিঙ্গন করে, কার্তিকের গালে আলতো আদর শাহরুখের! ‘ব্রোম্যান্স’য়ে আপ্লুত নেটিজেনরা)