ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চন, ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল সংসার শুরু করেন তাঁরা। অন্যদিকে অভিষেকের না হওয়া শ্যালিকা করিনা কাপুর খান এবং সইফ আলি খানের বিয়ে হয় ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর। দুই তারকা জুটির বিয়ের সময়ের পার্থক্য ছিল ৫ বছর। ২ ভিন্ন সময়ের এই ২ বিয়েতে কি পার্থক্য ছিল জানালেন ডিজে আকিল।
ডিজে তথা সুরকার আকিল, যিনি বলিউডের নামিদামি ব্যক্তিত্বদের বিয়ের পার্টিতে পারফর্ম করেন। শুধু বিয়ে নয়, জন্মদিন বা অন্যান্য বড় পার্টিতেও পারফরম্যান্স করে থাকেন তিনি। অন্যান্য তারকাদের মধ্যে সইফ আলি খান এবং অভিষেক বচ্চনের সঙ্গীত অনুষ্ঠানে পারফর্মেন্স করেছিলেন এই সুরকার।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে এবারের বাফটার পুরস্কার তালিকা, কোন তারকারা জিতলেন শিরোপা?
আরও পড়ুন: আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ অমিতাভের জামাইয়ের নামে! জালিয়াতির কেসে অভিযুক্ত নিখিল নন্দা
দুই তারকা জুটির বিয়েতে কোন পার্থক্য নজরে এসেছিল সুরকারের চোখে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খানের বিয়ে ছিল ভীষণ ছিমছাম একটা বিয়ে। হাতেগোনা কয়েকজন লোক উপস্থিত ছিল এই বিয়েতে। অন্যদিকে অভিষেকের বিয়ে ছিল বিশাল বড় একটি পার্টি। রাজকীয় সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন কয়েকশো লোক।
আকিল বলেন, দুই অভিনেতাই আমার ছোটবেলার বন্ধু। ছোট থেকে বড় হয়েছি আমরা একসঙ্গে। বিয়েতে উপস্থিত সকলেই প্রায় চেনা ছিল তাই কোনও অস্বস্তিবোধ হয়নি আমার। একবারও মনে হয়নি, কোন অপরিচিত মানুষের বিয়েতে এসে পারফর্ম করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্থগিত কনসার্ট, অসহ্য পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে শাকিরা! কী হয়েছে?
আকিল আরও বলেন, করিনার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮০ জন নিমন্ত্রিত। বিয়ের দিন দুজনেই ডান্স ফ্লোরে এসে নাচ করেছিলেন। অন্যদিকে ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের বিয়েতে যেন গোটা বিশ্ব নিমন্ত্রিত ছিলেন।
অনন্ত এবং রাধিকার বিয়ে প্রসঙ্গে কথা উঠায় আকিল বলেন, অনন্ত এবং রাধিকার বিয়ে আমার দেখা সবথেকে রাজকীয় বিয়ের মধ্যে একটি। বিয়েতে আমি উপস্থিত ছিলাম কিন্তু কিছু বাধা নিষেধ থাকার কারণে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনুষ্ঠান প্রায় ১৩টি পর্যায়ে ভাগ করা ছিল যার মধ্যে একটি ভাগে আমি পারফর্ম করেছিলাম টানা ৪ ঘন্টা।