নীতা এবং মুকেশ আম্বানি হলেন তাঁরা, যাদের নিঃসন্দেহে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা হয়। তাঁদের মুম্বইয়ের অ্যান্টিলিয়াতে যখনই কোনও ইভেন্ট হয়, তখনই পাপারাত্জিদের ভিড়ে ভরে যায় প্রাসাদ চত্ত্বর।
শুধু আম্বানির বিয়ের অনুষ্ঠানই ফটোগ্রাফারদের আকর্ষণ করে না। Jio World Plaza এবং Nita Mukesh Ambani Cultural Center (NMACC) এর উদ্বোধনেও বলিউডের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরাও ছবি তোলার জন্য অনুষ্ঠান কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করেছেন।
আরও পড়ুন: (‘প্রেগনেন্সিতে হাই হিল কেন?...’ কল্কি ২৮৯৮-এর প্রচারে দীপিকার কাজে অভিনেত্রীকে নিয়ে চিন্তা ভক্তদের)

গতকাল এমনই একজন পাপারাজ্জো বারিন্দর চাওলা, রেডডিটে একটি ‘আস্ক মি এনিথিং’ অর্থাত্ AMA সেশনের আয়োজন করেছিলেন, যেখানে তিনি কৌতূহলী বলিউড ভক্তদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এক রেডডিট ব্যবহারকারী জিজ্ঞাসা করেন যে, ‘আম্বানিরা তাদের ইভেন্টগুলি কভার করার জন্য প্যাপসদের ডাকেন নাকি, পাপারাৎজিরা নিজেরাই তাঁদের অনুষ্ঠানে গিয়ে হাজির হন?’
উত্তরে তিনি বলেন যে আম্বানিদের তাদের অনুষ্ঠানে পাপারাৎজিদের ডাকার দরকার নেই। তাঁদের নিজেদের পরিচয় এইজন্য যথেষ্ট। চাওলা ব্যাঙ্গের সুরে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি মনে করেন তাদের প্যাপসকে ডাকতে হবে, হা হা।’
বারিন্দর চাওলাকেও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে সেলিব্রিটিরা তাঁদের ছবি তোলার জন্য পাপারাৎজিদের ডাকে কি না। ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই প্যাপারাজ্জো জানান, তারকারা কেউই ডাকে না। তবে একটি পৃথক উত্তরে, তিনি স্বীকার করেছেন যে কখনও কখনও সেলিব্রিটিরা তাঁদের ছবি তোলার জন্য প্যাপকে কল করেন।
আরও পড়ুন: (ভদকা দিয়ে ফুচকা খাইয়েও ফ্লপ! ৩ বছরেই বন্ধ প্রিয়াঙ্কার মার্কিন রেস্তোরাঁ সোনা)
তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও সিনেমা প্রচারের সময়, তাঁরা আমাদের বিমানবন্দরে নিজেদের দেখানোর জন্য ডাকে। কিন্তু রেস্তোরাঁ, জিম, ক্লিনিক ইত্যাদি স্থানে আমাদের দল তাঁদের গাড়ি অনুসরণ করে’
তিনি আবার এই বিষয়টির পুনরাবৃত্তি করে বলেন যে ‘পাপারাজ্জিরা সেলিব্রিটি স্পটিংয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে টিপস পান। তাঁর ফটোগ্রাফাররা কখনও কখনও গাড়ি অনুসরণ করেন এবং কখনও কখনও রেস্তোঁরাগুলিতে ওয়েটার বা কর্মীদের কাছ থেকে টিপস পান যেখানে তারকারা খাবার খেতে পারে। মজার বিষয় হল, যে মুম্বইয়ের অনেক ভিক্ষুক বলিউডের সেলিব্রিটিদের দেখতে পেলে পাপারাত্জিদের ডাকেন।’
চাওলা বলেন, ‘আপনি বিশ্বাস করবেন না, মুম্বইতে অনেক ভিক্ষুকের কাছে আমাদের কর্মীদের নম্বর আছে, যারা ফোন করে।’