গত বছর ১৪ই জুন প্রয়াত হন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। এরপর থেকেই গোটা দেশে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে এই মামলা। আর এই মামলার তদন্তে যে নামটা বারেবারে ঘুরে ফিরে এসেছে তা হল সিদ্ধার্থ পিঠানি। কে তিনি? প্রয়াত অভিনেতার ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার এবং ফ্ল্যাট মেইট। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে গত ২৬শে মে গ্রেফতার হন সিদ্ধার্থ পিঠানি।
মিড-ডে'তে প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, গত বছর অগস্ট থেকেই নাকি সিদ্ধার্থকে নজরে রেখেছে এনসিবি। ১৪ই জুন সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ প্রথম দেখেছিল সিদ্ধার্থ পিঠানি, সিবিআই তথা মুম্বই পুলিশের রেকর্ড তেমনটাই বলছে। মাদককাণ্ডে সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েলল মিরান্ডা ও পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত গ্রেফতার হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরেই, আপতত জামিনে মুক্ত তাঁরা। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরেই নাকি এনসিবির জালে ধরা পড়েছে সিদ্ধার্থ পিঠানি। সুশান্তের মৃত্যুর পর নিজের পুরোনো অ্যাকাউন্টটি প্রথম প্রাইভেট এবং পরবর্তীতে ডিলিট করে দেন পিঠানি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিদ্ধার্থ পিঠানি এনসিবির তদন্তকে গত বছর অগস্ট থেকেই এড়িয়ে চলেছে। কিন্তু চলতি বছর এপ্রিলে নতুন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি জিম থেকে গ্রুপ ছবি পোস্ট করেন পিঠানি। ছবির ক্যাপশনে এই অভিযুক্ত লেখেন- ‘পিত্জা পাওয়া’। পাশাপাশি দু-সপ্তাহ আগেই নিজের বাগদানের ছবিও ইনস্টায় পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টের লোকেশনে হায়দরাবাদের এ এস নগর-এর নাম উল্লেখ করেন পিঠানি। এরপরই এনসিবি প্রথমে সেই জিমে পৌঁছায়। সমন পাবার পরেও এনসিবির সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করেনি সিদ্ধার্থ পিঠানি, মিড-ডে'কে জানান এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। এরপরই ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মের সহায়তাই সিদ্ধার্থের খোঁজ পায় এনসিবি।
পিঠানির গ্রেফতারির কয়েকঘন্টার মধ্যেই সুশান্তের বাড়ির অপর দুই পরিচালক নীরজ এবং কেশবকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল এনসিবি। রবিবার রাতে প্রায় ১৬ ঘন্টার জন্য জেরা করা হয় দুজনকে। তবে এই জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কোনওরকম তথ্য দেওয়া সম্ভবপর নয় বলে জানান সমীর ওয়াংখেড়ে।