স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। গত চারদিন ধরে তাঁরা অবস্থান করছেন এখানেই। তবে শুক্রবারের মুষলধার বৃষ্টি দেখে অনেকের কপালেই চিন্তার ভাঁজ। কারণ এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা পাশে গিয়ে ডাক্তারদের দাঁড়াতে না পারলেও, দূর থেকে খোঁজখবর রাখছেন। সুইগি, জোম্যাটো করে পাঠাচ্ছেন খাবার। সবার মনে তাই একটাই চিন্তা ছিল, এই প্রবল বৃষ্টিতে কেমন আছে ছেলেমেয়েগুলো!
ডাক্তার-অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ, যিনি এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ, ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে এই বৃষ্টিতে বেশ কিছু ত্রিপল খুলে গিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। যেগুলো আছে, সেগুলোরও অবস্থা খারাপ। তবে সেখানেই জমায়েত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: উই ওয়ান্ট জাস্টিস ব্যানারের সামনে চটুল গানে নাচছে স্বল্পবসনা নারী, ভিডিয়ো শেয়ার করলেন শ্রীলেখা
তবে প্রকৃতির এই প্রবল বর্ষণেও উৎসাহে একফোঁটা ভাঁটা পড়েনি। বরং সকলে মিলে চিৎকার করে বলে চলেছেন, ‘আরও জোরে বৃষ্টি হোক, আমার দিদির বিচার হোক’।
আরও পড়ুন: বাড়িতে থেকেই আরজি কর নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ আদৃত-কৌশাম্বির, ভিডিয়ো দিল প্যানপেজ
বৃহস্পতিবার নবান্নে পৌঁছেছিলেন জুনয়ির ডাক্তারেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি হননি লাইভ স্ট্রিমিং ( সরাসরি সম্প্রচার) করতে। যা নিয়ে পরে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ওরা বিচার চায় না চেয়ার চায়…. কেস চলছে, ডাইরেক্ট সুপ্রিম কোর্ট যেটা করতে পারে, সেটা আমরা করতে পারি না। সাবজুডিশ ব্যাপার …তিনটি ভিডিয়ো ক্যামেরা রেখেছিলাম। সঙ্গে, জুনিয়র ডাক্তারদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক বলেও উল্লেখ করেছেন মমতা। এমনকী, তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতির যোগ আছে বলেও, অভিযোগ তোলেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে অভয়া ক্লিনিক। যা মাঝে কদিন এই অবস্থান বিক্ষোভের জন্য বন্ধ রেখেছিলেন। তবে এবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকেই অনলাইনে রুগী দেখবেন তাঁরা। এমনকী, বুধবার রাতে এক পুলিশকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে, এই জুনিয়র ডাক্তাররাই তাঁর প্রাণ বাঁচান। অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যান হাসপাতালে।
এদিকে সুপ্রিমকোর্টের তরফ থেকে ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বারবার আবেদন করছেন মমতাও। তবে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় আন্দোলনকারীরা। কী হয়, সেদিকে কড়া চোখ বাংলা-সহ গোটা বিশ্বের মানুষের।