ফের একবার বিতর্কে জড়িয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টোরাজ। আর এর কারণ হল ৬ লাখ টাকার বিল। বিধায়করা স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে থাকেন নিজের ও পরিবারের জন্য। খবর রটে, ৬ লাখ টাকার হাসপাতালের বিল জমা দিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক বিধানসভায়। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। সন্তান প্রসবে খরচার বহর দেখে তো মাথায় হাত! সরকারের ঘর থেকে সেই টাকা যাবে শুনেও প্রতিবাদে সামিল অনেকে। পোস্ট, পালটা পোস্টে ছয়লাম সোশ্যাল মিডিয়া।
এরই মধ্যে আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ আশফাকুল্লা নাইয়া মুখ খুললেন। তিনি কারও নাম না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। যদিও তা কাদের উদ্দেশে করা, তা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
আশফাকুল্লা নাইয়া লেখেন, ‘কন্যাসন্তান জন্ম দিয়ে গর্বিত বাবা মা কে নিয়ে এভাবে ট্রোলিং করাকে সমর্থন নয়। তাছাড়া এটা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। খবরটা জনসমক্ষে এসেছে এটাই অস্বাভাবিক।’ সঙ্গে তিনি নিজের লেখায় আরও জুড়লেন, ‘কিন্তু যেটা ভাবার বিষয়, সরকারি গাড়ি, সরকারি বাড়ি, সরকারি সিকিউরিটি পাওয়া ব্যক্তিরা কীভাবে জনগণ এর টাকা ব্যবহার করেন যে বেবি ডেলিভারি ফিজ ৬ লাখ টাকা নরমাল ভাবেন। আপনারাও ভাবুন। ভাবতে শিখুন।’
খবরটা সামনে আসে ২৫ ডিসেম্বরের দিন, অর্থাৎ বুধবার। জানা যায় ৬ লাখের মধ্যে ২ লাখ হাসপাতালের খরচ, আর বাকি ৪ লাখ টাকা ডাক্তারের পারিশ্রমিক। একদিকে, বিল জমা দেওয়ার ব্যাপারটা অস্বীকার করেন কাঞ্চন। জানান, এখনও সেটা তাঁর কাছেই রয়েছে। এরপর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, কাঞ্চন এখনও বিল জমা দেননি। ৬ লক্ষ টাকা বিল জমা দিতে পারেন কিনা, তা বিধানসভায় আলোচনা করেছেন। সঙ্গে কুণালের দাবি, বিধানসভায় জমা দিলেও ‘দোষ হত না’ বলেও দাবি কুণালের। বরং তাঁর মতে, কেন বিল এত বেশি, সেই নিয়ে বরং আলোচনা করা দরকার।
এদিকে ৬ লাখি বিল নিয়ে আলোচনায় বিরক্ত শ্রীময়ী ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘অনেক কিছু নিয়ে কথা বলার, সমালোচনা করার বা চর্চা করার বিষয় রয়েছে কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজের কটা বাচ্চা হল বা কোথায় হল বা কত টাকা খরচা হল, কত মাসে হল, সিজার হলো নাকি নরমাল ডেলিভারি হল নাকি, ফর্সেপ হলো, এই ধরনের চর্চা করে নিজেদের শিক্ষার পরিচয়টা আর বাড়াবেন না, সর্বোপরি বলবো এগুলো ছাড়াও সমাজের অনেক বিষয় আছে চর্চা করার, আলোচনা করার,সমালোচনা করার, ওগুলোতে ফোকাস করুন, দয়া করে আমাদের জন্য নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না, আমাদের অযথা ভ্যালুয়েবল বানিয়ে দেবেন না, এই পৃথিবীর অনেকেই মা হয়েছেন, তাদের নিজেদের মতো করে, নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ীএবং একান্ত ব্যক্তিগতভাবে, নিজেদের পছন্দমত ডাক্তার বা নার্সিংহোমের তালিকায়, তাই আমি কোন বিরল মা নই’।