নুসরত জাহান ঠিক না ভুল-- আপাতত সেই বিচার করতে মেতে আছে নীতি পুলিশরা। কারও মতে, অভিনেত্রী নিজের জীবন নিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমতো সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। আরেক দল মনে করেন, তিনি সংসদে মিথ্যেচার করেছেন। শুধু তাই নয় জননেতা হিসেবে বারবার নিজেকে বিবাহিত দাবি করে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছেন। নুসরত জাহানের এই বিতর্কে এখনও মতামত প্রকাশ করতে দেখা যায়নি তাঁর ইন্ডাস্ট্রির কাওকে। তবে এবার নুসরত পাশে পেলেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা নুসরত জাহানকে। তসলিমা নাম না করে নুসরতের সমর্থনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বলে মনে করছেন নেট-নাগরিকদের একটা অংশ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন তসলিমা! নারী-পুরুষের বহুগামিতা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তসলিমা নাসরিন। সেখানে লেখিকা প্রশ্ন তোলেন, নারীর পাশাপাশি পুরুষের বহুগামিতাতেও কী সমানভাবে সরব হন সকলে? উত্তম কুমার গৌরী দেবী এবং সুপ্রিয়া দেবী-- দু'জনের সঙ্গেই থাকতেন বলে উল্লেখ করেছেন ফেসবুক পোস্টে তসলিমা। লিখেছেন, সমরেশ বসুও একসঙ্গে দুই বোনকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের নিয়ে কেন কিছু কেউ বলে না? লেখেন, “যে মেয়েটির নিন্দে করছো, সেও তো একজনকে ছেড়ে আরেকজনকে নিয়ে থেকেছে। যা করেছে প্রকাশ্যে, লুকিয়ে নয়, কাউকে ঠকিয়ে নয়। তাহলে তার নিন্দে করছো কেন?"
যদিও এই লেখা সামনে আসতে নেটনাগরিকদের কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয় তসলিমাকেও। নুসরতের সমর্থনে পোস্ট করার জন্য তাঁকে একপ্রকার তুলোধনা করা হয়। মনে করিয়ে দেওয়া হয় সংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় নুসরত নিজেকে বিবাহিত হিসেবে দাবি করেছিলেন। নিজের নাম নিয়েছিলেন, ‘নুসরত নিখিল রুহি জৈন’। তারপরে অবশ্য নিজের পোস্টে করা এক নেট ব্যবহারকারীর মন্তব্যের জবাব দেন লেখিকা। জানান, ‘কোনো ব্যক্তি এই লেখার বিষয় নয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর বহুগামিতা এই লেখার বিষয়।’
এর আগেও নুসরতের সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন তসলিমা। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘নিখিল, যশ দুইই সমান। একজন স্বাধীনচেতা নারী বাস্তবে কখনই আকাঙ্ক্ষিত পুরুষ পেতে পারেন না’।